বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘ড. ইউনূসের পক্ষে ওকালতি করা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ’

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ‘ড. ইউনূসের পক্ষে ওকালতি করা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ’
বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩



‘ড. ইউনূসের পক্ষে ওকালতি করা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ’

ড. ইউনূসের পক্ষে ওকালতি করা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে বাংলাদেশের শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ মনে করে। আজ বুধবার শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির এক সভায় এই অভিমত তুলে ধরা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির এক সভা সেগুনবাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপি।
সভায় বক্তব্য দেন সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব শ্রমিক নেতা আলাউদ্দিন মিয়া, আবুল হোসাইন, জেড এম কামরুল আনাম, নুরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, মোকলেসুর রহমান, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

সভায় বলা হয়, ড. মোহাম্মদ ইউনূস নোবেল বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন এবং তিনি একজন সম্মানী ব্যক্তির সঙ্গে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেই সেই সম্মান রক্ষা করতে পারেননি। তিনি কিছু বিতর্কিত কাজের মাধ্যমেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন, অসম্মানিত করেছেন।
এটা তার জন্য লজ্জাকর, দেশের জন্য লজ্জাকর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কমিউনিকেশন ও গ্রামীণ কল্যাণ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত শ্রমিককে বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত করেছেন এবং অসংখ্য শ্রমিকের বেতন-ভাতা বন্ধ রেখেছেন। সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আইনি আশ্রয় নিয়ে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ড. ইউনূসকে অভিযুক্ত করা হয় এবং বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং ক্ষতিপূরণবাবদ ৪৩৭ কোটি টাকা প্রদানের আদেশ প্রদান করা হয়।
এতে ড. ইউনূস সেই আদেশও অমান্য করেন। অবশেষে শ্রমিকদের পক্ষে কলকারখানা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে এবং আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। অবশেষে ড. ইউনূস আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। এসব কার্যকলাপের মাধ্যমে ড. ইউনূস দেশে-বিদেশে বিতর্কিত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ড. ইউনূস ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার নিন্দা করেননি।
একইভাবে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার নিন্দা, ২১ আগস্ট হত্যার প্রতিবাদ এবং ১৭ আগস্ট সারা দেশে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ থেকে বিরত থেকেছেন। তার বিরুদ্ধে এমন আরো অভিযোগ উঠেছে যে তিনি তার প্রতিষ্ঠান কখনো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেননি এবং তিনি জীবনে কখনো শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন না। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমের প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে দেশবাসী ড. ইউনূসের কাছে জানতে চায়, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী কি না! সভা আশা করে, ড. ইউনূস এ ব্যাপারে তার মতামত গণমাধ্যমে প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১০:৩৮   ১৩৪ বার পঠিত