শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সরিষাবাড়ীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সরিষাবাড়ীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬
শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩



সরিষাবাড়ীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৬ জন। এ ঘটনা উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর আদ্রা উত্তর পাড়া এলাকায় ঘটেছে।

স্থানীয় ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চর আদ্রা উত্তর পাড়া গ্রামের আঃ মালেক এর ছেলে খোরশেদ আলম এর সাথে বাড়ীর পরশি সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী লাবণী আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল।

আজ সকাল সাড়ে নয়টায় খোরশেদ আলমের চায়ের দোকানের পাশ দিয়ে লাবনী আক্তারের ছেলে পলাশ তাদের জায়গা পেছিয়ে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিচ্ছিল। এমন সময় খোরশেদ আলম দেখে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিট শুরু হয়। এ সংবাদ পেয়ে পলাশের নানা আঃ মান্নান শনি ঘটনাস্থলে আসে এবং খোরশেদ আলম গং দের পাট কাটা বাগি দিয়ে মাথায় কুপিয়ে আহত করে। পরের স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।

এতে আহত হয়েছে খোরশেদ আলম (৩৫) ,স্বপন মিয়া(২৫), শামীম মিয়া(১৪) ও সেলিনা বেগম(২৫) সহ অপরপক্ষের আঃ মান্নান (৫৫) ও আপেল মাহমুদ (১৬)। আহতরা সকলেই সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে আহত খোরশেদ আলম নিউজ টু নারায়ণগঞ্জ কে জানান, তার বাড়ীর পাশে জায়গা কিনে বাড়ী করে আঃ মান্নান শনির মেয়ে লাবনী আক্তার। বাড়ী করার পর হতেই সে সীমানা পেঁচিনো বিভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করে এবং বাবার বংশের দাপট দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন সময় মারতে আসে। আমরা নিরীহ মানুষ তাই প্রতিবাদ করতে পারি না। আমার চা দোকানে পাশ দিয়ে সে গরু বেঁধে রাখে। গরুর প্রস্রাব পায়খানার দুর্গন্ধে লোকজন বসে চা খেতে পারে না। তাই তাকে বেড়া দিতে বলেছি বলে সে আমার সীমানা পেঁচিয়ে বেড়া দিচ্ছে। এতে আমি বাধা প্রদান করলে আমার এবং আমার পরিবারের উপর হামলা করে মারধর করে। আমি প্রশাসনের কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এদিকে বিবাদী আঃ মান্নান শনি বলেন, আমি মারামারি করতে যাইনি। ছাড়াতে গিয়েছিলাম। ছাড়াতে গিয়ে মার খেয়েছি।

কিন্তু এলাকাবাসী বলছেন আব্দুল মান্নান শনি। এরা হচ্ছে খুনির বংশ। এরা শুধু মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ ও মারামারি করে। তার মেয়ে লাবণী ঝগড়াটে বলেই তার শ্বশুরবাড়ী মাদারগঞ্জ পাটাদহ এলাকায় থাকতে পারেনি। এলাকার লোকজন বের করে দিয়েছে। পরে তার বাবা আঃ মান্নান শনি নিজে এলাকায় এনে মেয়ের জামাইকে জায়গা কিনে বাড়ি করে দেয়। এখানেও সে সমাজের নিরীহ মানুষগুলোর অশান্তি সৃষ্টি করছে। তাই এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ফয়সাল আহমেদ জানান, এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৮:৫০   ৩৪৯ বার পঠিত