বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

চক্রের মূলহোতা সাবেক এক যুগ্ম সচিবের ছেলে

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » চক্রের মূলহোতা সাবেক এক যুগ্ম সচিবের ছেলে
বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩



চক্রের মূলহোতা সাবেক এক যুগ্ম সচিবের ছেলে

সব ধরনের ব্যাংক ঋণ অনুমোদন করিয়ে দেন তারা, তবে তা নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে। ফেসবুকে এমন বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে এখন অনেকেই নিঃস্ব। বড় অংকের ঋণ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

সম্প্রতি এমন একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর পুলিশ জানিয়েছে, এ চক্রের মূলহোতা সাবেক এক যুগ্ম সচিবের ছেলে।

ইলমান খান নামে এক ব্যক্তি একটি এনজিও পরিচালনা করেন। সেই এনজিওর জন্য তার বড় অংকের ঋণ দরকার ছিল তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান যে, নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থার। যোগাযোগ করেন তাদের সঙ্গে। বৈঠক করেন রাজধানীর একটি বড় হোটেলে। পাঁচ শতাংশ কমিশনে ১০ কোটি টাকা ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় তাকে। কয়েক দফায় বিভিন্ন অজুহাতে ঋণ মঞ্জুরের আগেই তার কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। ইলমান খানের মতো এমন প্রতারণার শিকার হয়েছে অনেকেই এ চক্রটির কাছে।

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যাংক লোনের নামে প্রতারণা করা চক্রটিকে শনাক্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় অফিস ভাড়া নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তাদের চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে লোনের জন্য যোগাযোগ করলে প্রসেসিং ফি, সার্ভিস চার্জ, ডিসবার্সমেন্ট ফিসহ নানা খাতে দফায় দফায় টাকা গুণতে হত। একটা সময় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ চক্রে সাবেক এক যুগ্ম সচিবের পরিবার পরিজন রয়েছেন বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি সময় সংবাদকে হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মানুষকে ঠকানো এ চক্রটিতে সাবেক এক যুগ্ম সচিবের ছেলে, ছেলের বউ এবং তার স্ত্রী আছেন। তারা প্রত্যেকে যোগসাজসে রাজধানীর নামকরা জায়গাগুলোতে একটি ভূয়া প্রতিষ্টান খোলে এরপর চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে লোন পাইয়ে দেয়ার কথা জানান। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে আসছিল তারা। এভাবে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। তাদের চক্রে আছে অসাধু আইনজীবীও। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা যেন আইনী পদক্ষেপ নিতে না পারেন আগেই তারা সেই ব্যবস্থাও করে রেখেছিল। উল্টো ভুক্তভোগীকে আইন ভয় দেখাতেন বলেও জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১২:০৪:৪৮   ১২১ বার পঠিত