সংসদ ভবন, ৬ অক্টোবর, ২০২৩ : জাতীয় সংসদে আজ ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো ভূমি ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন। অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর, আওতাধীন এলাকার মধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখনন কিংবা চালা বা উঁচু ভূমি কাটা যাবে না। এই বিধান প্রথমবার লঙ্ঘন করলে অনধিক ২ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। পরবর্তীতে প্রতিবার একই অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ বছর, অনধিক ১০ বছর কারাদন্ড বা অন্যূন ২ লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন বা পুনঃখননের জন্য ফিসহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর কাছে আবেদন করতে হবে।
কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইনের অধীনে ঘোষিত পর্যটন সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কোনো ইমারত বা স্থাপনা নির্মাণ বা কৃত্রিম জলাধার খননের অনুমতি প্রদান করতে পারিবে।
বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণ করলে স্থাপনা নির্মাণকারী অনধিক ২ বৎসর কারাদন্ড অথবা অনধিক ২০ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন ।
বিলে বলা হয়েছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী কোনো ইমারত নির্মাণ, জলাধার ভরাট বা জলাধার খননের অনুমতি প্রদান করলে তাকে ওই ইমারত বা জলাধারের নক্সাসহ তার স্বাক্ষরিত অনুমতি পত্রের একটি অনুলিপি ইমারত বা জলাধার যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার মেয়র বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠাতে হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও এর সন্নিহিত এলাকা সমন্বয়ে একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ওই অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন, ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং পর্যটন অঞ্চলের অবকাঠামো ও স্থাপনাসমূহ টেকসই, দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটন বান্ধব নিশ্চিত করার লক্ষে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে এই বিলটি আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৬:১১ ১১৭ বার পঠিত