শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কিউইদের হারাল অস্ট্রেলিয়া

প্রথম পাতা » খেলাধুলা » রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কিউইদের হারাল অস্ট্রেলিয়া
শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩



রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কিউইদের হারাল অস্ট্রেলিয়া

চলতি বিশ্বকাপেই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান। সেদিন তারা শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রান টপকে গিয়েছিল। এবার তার চেয়ে আরও বড় লক্ষ্য পেরোনোর পথেই ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু রাচিন রবীন্দ্র’র সেঞ্চুরি এবং ড্যারিল মিচেল ও জিমি নিশামের ফিফটির পরও জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েই হতাশায় পুড়তে হলো কিউইদের। ফলে অস্ট্রেলিয়ার নেওয়া ৩৮৯ রান তাদের নাগালের বাইরেই থেকে গেল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে প্যাট কামিন্সের দল ৫ রানে জিতেছে।

শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। মিচেল স্টার্কের প্রথম বলে সিঙ্গেল রানের পর, দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ওয়াইড ও চার মিলিয়ে জয়ের স্বপ্ন চাঙা হয় কিউইদের। পরবর্তী দুই বলে নিশামের দুটি শটই ছিল চারের বাউন্ডারি পাওয়ার মতো। অজি ফিল্ডাররা দারুণ প্রচেষ্টায় দু’দফায় সেখানে দুটি করে রান ঠেকিয়েছেন। শেষ তিন বলে ৩ রান নিতেই এক উইকেট হারানোয় আর বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়নি টম ল্যাথামের দলের।

জয় থেকে ৫ কদম দূরত্বে নিউজিল্যান্ড থেমেছে ৩৮৩ রানে। ধর্মশালায় এদিন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড মিলে তোলে ৭৭১ রান। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। চলতি আসরেই দিল্লিতে বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ ৭৫৪ তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা। তাদের সেই রেকর্ড আজ কামিন্স-রবীন্দ্ররা ছাড়িয়ে গেছেন।

টানা দুই হারে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে পরবর্তী চার ম্যাচেই জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে শঙ্কা ছাপিয়ে তারাও সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো। এদিন আগে ব্যাট করে কিউই বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে অজি ব্যাটাররা। শুরু থেকেই বোলারদের চোখেমুখে অন্ধকার ছড়িয়ে তাদের দৌড়টি ছিল সাড়ে চারশ’র দিকে। ১০ ওভারে একশ এবং ২৩ ওভারে দুইশ রানের পর সেই লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরেন গ্লেন ফিলিপস ও ট্রেন্ট বোল্টরা। শেষ পর্যন্ত ট্রেভিস হেডের সেঞ্চুরি ও ডেভিড ওয়ার্নারের ৮১ রানে ভর করে অস্ট্রেলিয়া বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৩১ বলেই পঞ্চাশ তুলে ফেলেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। তবে জশ হ্যাজলউড পরপর দুই ওভারে দুজনকে বিদায় করে দিলে নিউজিল্যান্ডের রানের গতি কিছুটা কমে আসে। এরপর নিউজিল্যান্ডকে মূলত জয়ের পথে ধরে রাখেন রাচিন রবীন্দ্র। তিনে নামা এই বাঁ-হাতি ব্যাটার প্রথমে ড্যারিল মিচেল, এরপর অধিনায়ক টম ল্যাথামকে নিয়ে দুটি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন।

সতীর্থদের আসা–যাওয়া দেখলেও একপ্রান্তে রবীন্দ্র টিকেছিলেন ৪১তম ওভার পর্যন্ত। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা এই বাঁ-হাতি এই দফায় থামেন ১১৬ রানে। প্যাট কামিন্সকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে মারনাস লাবুশেনের ক্যাচ হয়েছেন তিনি। তার আগে ৮৯ বলের ইনিংসটিতে মারেন ৯টি চার ও ৫টি ছয়। বিদায়ের আগে রবীন্দ্র কিউইদের হয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম (৭৭ বল) সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন।

রবীন্দ্র আউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডকে শেষের রোমাঞ্চে নিয়ে যান নিশাম। রান আউট হওয়ার আগে ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩৯ বলে ৫৮ রান করে যান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। এছাড়া ৫১ বলে ৫৪ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা, এছাড়া দুটি করে শিকার করে হ্যাজলউড ও কামিন্স।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৩:৪৩   ১০৫ বার পঠিত