চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলে মাত্র ৩ থেকে ৪ সেকেন্ডে আদায় হচ্ছে এক একটি গাড়ির টোল। দ্বিতীয় দিন সোমবার (৩০ অক্টোবর) ৬ ঘণ্টায় গাড়ি পার হয় ৭৫০টি। রাজস্ব আদায় দুই লাখ টাকা। এ সময় টোল প্লাজায় গাড়ি থামিয়ে সেলফি তুলতে দেখা যায় যাত্রীদের।
এর আগে রোববার (২৯ অক্টোবর) প্রথম দিন ২৪ ঘণ্টায় যানবাহন পার হয় ৫ হাজার ৬৭৮টি। আর রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১২ লাখ ১৩ হাজার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু টানেল পার হয়ে নান্দনিক সড়কে একের পর এক টোল প্লাজায় ঢুকছে যানবাহন। প্রবেশ করতেই গাড়ির যাবতীয় তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ে নিচ্ছে সেন্সর। মুহূর্তেই কম্পিউটারে যাচাই-বাছাই করে বের করে দিচ্ছে স্লিপ।
বঙ্গবন্ধু টোল প্লাজার ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমাদের অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিকস, কার্ড ম্যানুয়ালি তিনভাবে টোল আদায়ের সিস্টেম আছে। পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতাকে এখানে কাজে লাগানো হয়েছে। সোমবার দৃষ্টিনন্দন ১৬টি টোল প্লাজা দিয়ে প্রথম ৬ ঘণ্টায় গাড়ি পার হয় ৭৫০টি। রাজস্ব আদায় দুই লাখ টাকা।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ভবিষ্যতে গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজটে সৃষ্টি হবে না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেল প্রজেক্টের উপসহকারী প্রকৌশলী রায়হানুর ইসলাম জানান, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই এ টানেল করা হয়েছে। আগুন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ নানা দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) নদীর নিচে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে কর্ণফুলী নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৬:১৩ ১২৮ বার পঠিত