তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০১৪ সালে আমরা চায়নার সঙ্গে ‘ইনফো সরকার’ নিয়ে চুক্তি করি। এর মাধ্যমে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিই। ১৮ হাজার সরকারি অফিসকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসি। সামনে নতুন কিছু প্রজেক্ট চায়নার সঙ্গে করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিএসএমএমইউতে আয়োজিত কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের জন্য পাইলট সাইট ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএসএমএমইউ কর্তৃক গৃহীত এই যুগান্তকারী পাইলট প্রজেক্ট রোগীদের খরচ কমিয়ে দেবে। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে পাইলট প্রজেক্টটি একটা উদাহরণ। ডিজিটাল অবকাঠামো এই যে উন্নতি, সেটা ২০০৮ সাল ও বর্তমান সময় দেখলেই বোঝা যায়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য সবখাতেই আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে।প্রধানমন্ত্রী যখন ২০৪১ সালে ভিশনের বিষয়টি ব্যক্ত করেন, তখন অনেকেই হাসাহাসি করেছিল। কিন্তু আজ সে ভিশন বাস্তবায়নের পথে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে মানবসম্পদের উন্নয়ন, ২ হাজারের বেশি অনলাইন সেবা উদ্ভাবন এবং আইসিটি খাত থেকে দেড় বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে। এক যুগের মধ্যে এ ধরনের অর্জন অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য।
তিনি বলেন, করোনার সময়ে উপলব্ধি করা গিয়েছিল যে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছি, যা সময় এবং অর্থ দুটোই বাঁচিয়েছে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়নার রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩১:০২ ১৪৮ বার পঠিত