ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে স্মার্ট ভূমি সেবা বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ কর্মশালার আয়োজন করেছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির।
শেষ সময়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন একটা মার্জিনাল সময়ে পড়েছিলাম যে, এটা না হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সাপোর্ট দিয়েছেন, সেজন্য এটা আমি করতে পেরেছি। একটা আইন পাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। একেবারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত অধীর আগ্রহে এ আইনটির অপেক্ষা করছিল। আমি স্যাটিসফায়েড যে আইনটি করে যেতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে। ইনশাআল্লাহ বিধিটা হয়ে যাবে। বিধিটা না হলে হাফ ডান হয়ে যাবে। হাফ ডান নিয়ে আবার প্রবলেম হয়ে যাবে।’
পাঁচ বছর মেয়াদে আন্তরিকতার সঙ্গে কিছু করার চেষ্টা করেছেন বলেও এসময় দাবি করেন ভূমিমন্ত্রী।
মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি। এটা এই মেয়াদের শেষ সময়। আগামীটা আগামীতে দেখা যাবে, আল্লাহ কি রাখছেন। তবে মনে হচ্ছে, স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) নিয়ে যেতে পারছি। আমার মধ্যে সবসময় একটা ভীতি কাজ করত… একটা কথা আছে– শেষ ভালো যার সব ভালো তার।’
‘আমার জায়গা থেকে মনে হচ্ছে, একটা জাতিকে যতটুকু পেরেছি, সেটা বিবেচনা করবে জাতি। কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি এবং একটা ন্যূনতম স্যাটিসফেকশন নিয়ে যেতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা কাজের প্রতি মনোযোগী, কাজ করতে বেশি আগ্রহী, তাদের মধ্যে সবসময় একটা জিনিস থেকে যায়– আরেকটু সময় পেলে যদি আরেকটু কাজ করতে পারতাম, এই সময়টা পেলে নিশ্চয়ই আমি কাজ আরও গোছাতে পারতাম। আমার পাঁচ বছর আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়। এটা সবসময় আমার মাথায় রেখেছিলাম বলে একটা স্যাটিসফেকশনের জায়গায় দাঁড়াতে পেরেছি।’
ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘এটাকে একটা সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন তার বেসিক্যালি রুটিন ওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো যদি ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা শেইপে নিয়ে এসেছি।’
ভূমি উন্নয়ন কর আগে ম্যানুয়ালি ছিল জানিয়ে মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন পর বাবদ ৫ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।’
কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে– স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ড ট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কি পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ড ট্যাক্স– এগুলো মোটামুটি আমরা সেরে ফেলেছি।’
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীরগতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে, আরও কাজ বাকি আছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৩:৪৩ ৯২ বার পঠিত