সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

স্ত্রীর টিকটক সহ্য হয়নি স্বামীর, তাই প্রাণ দিতে হলো রিনাকে

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » স্ত্রীর টিকটক সহ্য হয়নি স্বামীর, তাই প্রাণ দিতে হলো রিনাকে
সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩



স্ত্রীর টিকটক সহ্য হয়নি স্বামীর, তাই প্রাণ দিতে হলো রিনাকে

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে গৃহবধূ খুনের দুই দিন পার হলেও এখনো মূল ঘাতক স্বামীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ায় তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। মূলত টিকটক করা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ঘটে এমন হত্যাকাণ্ড। এতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান গৃহবধূ রিনা আক্তার।

এদিকে, রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এসময় নিহত রিনা আক্তারের স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে ঘাতককে দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের সুরসই গ্রামে স্বামী হাবিবুর রহমানের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের শিকার হন স্ত্রী রিনা আক্তার (২৫)।
এই ঘটনায় মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম হলে প্রথমে রিনা আক্তারকে এলাকার একটি ক্লিনিকে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিনা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, মাত্র দুই মাস আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে স্বামী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে রিনার বিরোধ শুরু হয়।
এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর তার মেয়ে রাগ করে স্বামীর বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যায়। তিন দিন আগে তার মেয়ে আবার ফিরেও আসে স্বামীর বাড়িতে।

নিহত রিনা আক্তারের বাবা বিল্লাল হোসেন আরো জানান, মেয়ে ফিরে আসার পর আবারো স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া। আর এর জের ধরে তার মেয়েকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হাবিবুর রহমান।

অন্যদিকে, মেয়ে হত্যার অভিযোগ এনে জামাতাসহ ৫ জনকে আসামি করে শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বিল্লাল হোসেন।
তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত মূল আসামিসহ কাউকে আটক করতে পারেনি।

এমন পরিস্থিতিতে রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এসময় দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যা মামলার আসামিদের আটক করার নির্দেশ দেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান সাঈদ, শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত রিনা আক্তার ছিলেন হাবিবুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। রিনা আক্তার টিকটক নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এতে বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ এবং ঝগড়াঝাটি চলতো। যার জের ধরে বিয়ের ১ মাসের মাথায় রাগ করে স্বামীর বাড়ি থেকে ঢাকা চলে যান রিনা আক্তার।

তবে সেই রাগ ভেঙে আবার ফিরেও আসেন। কিন্তু ফের নতুন করে ঝগড়াঝাটি হলে শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৩:৪৬   ৯৮ বার পঠিত