পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে কমানো হয়েছে গ্রেড। গ্রেড ৫টি থেকে ৪টি করেছে সরকার। এরমধ্যে ৩ ও ৪ গ্রেড মিলে একটি গ্রেড করা হয়েছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রমিক ও কর্মচারীদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ সংক্রান্ত বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানানো হয়।
এসময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় শ্রমিকদের পক্ষে প্রতিনিধি ছিলেন- শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি, মালিকদের পক্ষ থেকে বোর্ডের প্রতিনিধি ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান।
এছাড়া নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির খসড়া গেজেট হয়েছিল, সেটা নিয়ে মালিক পক্ষ থেকে ১৭৩টি আপত্তি ও সুপারিশ দিয়েছেন। আর শ্রমিকদের ২৫টি সংগঠন থেকেও আপত্তি ও সুপারিশ করেছে।
তিনি বলেন, আলোচনা করে আজকে চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ মজুরিতে ৫টি গ্রেড ছিল সেখান থেকে কমিয়ে ৪টি গ্রেড করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ৪র্থ গ্রেডে সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার ৫০০ ছিল সেটা ঠিক রাখা হয়েছে। ৩য় গ্রেডে ১৩ হাজার ২৫ টাকা থেকে ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা, ২য় গ্রেডে ১৪ হাজার ১৫০ থেকে ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা, প্রথম গ্রেডে ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ১৫ হাজার ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শ্রমিক নেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত ৭ নভেম্বর মজুরি ঘোষণা করা হয়। এরপর গেজেট করার পর ১৪ দিনের মধ্যে মালিক ও শ্রমিকদের আপত্তি থাকলে জানাতে হয়। সে অনুযায়ী মালিক ও শ্রমিকপক্ষের আপত্তি নিয়ে আলোচনা করেছি। শ্রমিকদের যে মূল দাবিটা ছিল সেটা হলো, গ্রেড কমানো। আমরা সে অনুযায়ী ৫টি গ্রেড থেকে ৪টি গ্রেড করেছি। ফলে ৩/৪ মিলে একটি গ্রেড করেছি। আমি মনে করি মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও নিরপেক্ষ যে সদস্য রয়েছে, তাদের সকলের সম্মতিতে আজকে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা সর্বসম্মতিক্রমে নির্ধারিত হয়েছে। এখানে কোনো পক্ষের আর কোনো রকমের আপত্তি নাই।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৪:১৮ ৭৩ বার পঠিত