দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মনোননয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত সব প্রার্থীসহ ৩৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর বাতিল করা হয়েছে ৭ জনের মনোনয়নপত্র। জেলার ৫টি আসনে ৪৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই যাচাই-বাছাই করা হয়।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষরে গড়মিল তথ্য থাকা, সঠিকভাবে ফরম পূরণ না করা, ঋণ খেলাপি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করতে পারবেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আফাজ উদ্দিন মোল্লা জামানতের টাকা জমা না দেওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাজাহান ভূঁইয়াসহ ৯ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বতস্ত্র প্রার্থী জিকে মামুন দিদার সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মো. শরীফুর ইসলাম ক্রেডিট কার্ডে ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু ও জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটনসহ বাকী চারজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে জাকের পার্টির জামিল মিজি জামিনদাতা হিসেবে ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। একই কারণে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. সিরাজুল হকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ আল কায়সার ও জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকাসহ বাকী ১১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম ও কাজী দেলোয়ার হোসেন মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন খোকাসহ বাকী ৯ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে ৫ জন প্রার্থীর সবারই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থী দেয়নি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানসহ অন্য সবার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৭:২৪ ১৪৬ বার পঠিত #নির্বাচন ২০২৪