মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপির নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক নির্বাচনে আসতে চান না: কৃষিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » বিএনপির নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক নির্বাচনে আসতে চান না: কৃষিমন্ত্রী
মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩



বিএনপির নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক নির্বাচনে আসতে চান না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার অনেক চেষ্টা করা হলেও, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাতে সাড়া দেননি। নেতৃত্ব হারানোর ভয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে দলকে বাধা দিচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার ( ডিসেম্বর ৫) রাজধানীর খামারবাড়িতে অবস্থিত কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন,

বিগত ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফোনও দিয়েছিলেন আলোচনার জন্য। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি, তিনি বেছে নিয়েছিলেন সহিংসতার পথ। এখনও তারা একই পথে হাঁটছেন। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কোনোভাবেই নির্বাচনে আসবে না। তাদের নেতৃত্ব কে দিবে? তারেক জিয়া, তিনি জানেন দেশে আসলে তাকে জেলে যেতে হবে। তারপর ক্ষমতা চলে যাবে অন্য কারও কাছে। এই ভয়েই তারেক জিয়ার নির্দেশে, নেতারা নির্বাচনে আসবেন না।

পুলিশ কঠোর হস্তে দমন করেছে বলেই বিএনপি এবার আগের মতো তাণ্ডব চালাতে পারেনি। এমন মন্তব্য করে আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, আমরা অবশ্যই চাই, আমাদের একটা শক্ত প্রতিপক্ষ থাকুক। তবে বিএনপি এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দল।

বিশ্ব মৃত্তিকা (মাটি) দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন,

বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই, আমরা কী করতে পারি। নির্বাচন করার অনুষ্ঠানিক সাংবিধানিকভাবে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আমাদের নির্বাচন করতেই হবে। বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। পর্দার অন্তরালেও অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাদের নেতা তারেক রহমান, চান না নির্বাচনে আসতে। তার মা খালেদা জিয়া অসুস্থ। আর তারেক জিয়া মামলার ভয়ে দেশে আসতে চান না। তারেকের ভয় বিএনপির নেতৃত্ব অন্য কারও হাতে চলে যাবে। এ ভয়েই তিনি বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে দিতে চায় না।

বিএনপিকে নির্বাচনে চায় আওয়ামী লীগ। এজন্য বারবারই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে-এ কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। আমরা চেয়েছি, তারা নির্বাচনে আসুক। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। সে সময় প্রায় ৩৮ মিনিট কথা হয় তাদের মধ্যে। খালেদা জিয়াকে ডিনারের দাওয়াত দিয়েছিলেন, এক সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া তাতে সাড়া না দিয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নেন। গাড়িতে আগুন দেয়ার পথ বেছে নেন। তিনি বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে ওঠেন।

শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয়েই অবস্থানের ঘোষণা দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতার গ্লানি মেনে নিয়ে, বিএনপি কার্যালয় ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও গণভবনেই রয়েছেন বলেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী এবং বালাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশ্বমৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সয়েল অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:৩১   ১০৬ বার পঠিত