রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

পারলো না বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলো ৪৪ রানে

প্রথম পাতা » খেলাধুলা » পারলো না বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলো ৪৪ রানে
রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩



পারলো না বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলো ৪৪ রানে

মেহেদী হাসান মিরাজ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলেন। উইকেটও বাকি থাকলো একটি; কিন্তু জয়ের জন্য আর প্রয়োজনীয় বল বাকি থাকলো না। অর্থ্যাৎ, বৃষ্টির কারণে নির্ধারণ করে দেয়া ৩০ ওভার শেষ হয়ে গেলো ৯ উইকেটে বাংলাদেশের ২০০ রানের মাথায়। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে হেরে গেলো ৪৪ রানের ব্যবধানে।

ডানেডিনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বাংলাদেশ। টসের পরই এক পশলা বৃষ্টি হানা দেয়। যে কারণে ম্যাচ শুরু করতেই বিলম্ব হযে যায়। এরপর খেলা শুরু হলে আবারও বৃষ্টি নামে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নির্ধারণ করা হয় ৩০ ওভারের। সেই ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে কিউইরা।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় সেই ৩০ ওভারেই ২৪৫। কিন্তু ব্যটারদের চরম ব্যর্থতায় বাংলাদেশ আটকে গেলো ২০০ রানের মাথায়। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।

মেহেদী হাসান মিরাজ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলেন। উইকেটও বাকি থাকলো একটি; কিন্তু জয়ের জন্য আর প্রয়োজনীয় বল বাকি থাকলো না। অর্থ্যাৎ, বৃষ্টির কারণে নির্ধারণ করে দেয়া ৩০ ওভার শেষ হয়ে গেলো ৯ উইকেটে বাংলাদেশের ২০০ রানের মাথায়। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে হেরে গেলো ৪৪ রানের ব্যবধানে।

ডানেডিনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বাংলাদেশ। টসের পরই এক পশলা বৃষ্টি হানা দেয়। যে কারণে ম্যাচ শুরু করতেই বিলম্ব হযে যায়। এরপর খেলা শুরু হলে আবারও বৃষ্টি নামে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নির্ধারণ করা হয় ৩০ ওভারের। সেই ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে কিউইরা।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় সেই ৩০ ওভারেই ২৪৫। কিন্তু ব্যটারদের চরম ব্যর্থতায় বাংলাদেশ আটকে গেলো ২০০ রানের মাথায়। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।

জয়ের জন্য ২৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর রানরেট ঠিকই ছিল। কিন্তু উইকেট পতনের মিছিল থামছিল না টাইগারদের। যার ধারাবাহিকতায় পরাজয় ৪৪ রানের।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলে জায়গা ফিরে পেলেন, কিন্তু অফফর্ম থেকে বের হতে পারলেন সৌম্য সরকার। নিজের সবশেষ ওয়ানডেতে শূন্য করেছিলেন। দলে ফিরে ফের শূন্য বাঁহাতি এ ব্যাটারের। আজ তিনি ৪ বল খেলে খুলতে পারেননি রানের খাতা। অ্যাডাম মিলনের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।

এরপর বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল নাজমুল হোসেন শান্তকে। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে বাজে শটে উইকেট বিলিয়ে আসার অভ্যাস থেকে বের হতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিউই লেগস্পিনার ইশ সোধিকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ফিরেছেন তিনি। ১৩ বলে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।

হাফসেঞ্চুরির সুযোগ ছিল, কিন্তু দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় নিজের ভুলেই সুযোগ নষ্ট করলেন। কিউই অভিষিক্ত পেসার ক্লার্কসনের শর্ট বল তুলে দিলেন আকাশে, ফিরতি ক্যাচ নিলেন বোলারই। ৩৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করেন বিজয়।

এরপর লিটন দাসও সেট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। ক্লার্কসনের বলেই ‘মারব কি ছাড়ব’ করে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন লিটন। ১৯ বলে করেন ২২ রান।

টাইগার ব্যাটাররা নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে থাকে। ব্যতিক্রম ছিলেন না অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস কিংবা সৌম্য সরকাররা। মুশফিক আত্মঘাতী রিভার্স সুইপে নিজের বিপদ ডাকলেন, বিপদে ফেলেন দলকেও। রাচিন রাবিন্দ্রর বলে ৪ রান করে আউট হয়ে যান মুশফিক।

তাওহিদ হৃদয় প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। আবার জয়ের আশাও দেখিয়েছিলেন তিনি। ২৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন তিনি ইস শোধির স্পিনে অ্যাডান মিলনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আফিফ-মিরাজ মিলে শেষ আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে তোলেন। ২৮ বলে ৩৮ রান করে আফিফ হয়ে যান। শরিফুল আউট হন ৫ রানে। সর্বশেষ হাসান মাহমুদও ফিরে যান ৪ রান করে। মিরাজ অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে।

ডানেডিনে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি পরিণত হয় ৩০ ওভারের ম্যাচে। টম ল্যাথামের ৯২ আর উইল ইয়ংয়ের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৭ উইকেটে ২৩৯ রান।

সবশেষ বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ১৯.২ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১০৮ রান। টম ল্যাথাম ৫১ আর উইল ইয়ং ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এরপর ৩০ ওভার ঠিক করে দেওয়া হলে স্বাভাবিকভাবেই টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হন এই যুগল। দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন তারা।

ল্যাথাম পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। ৭৭ বলে ৯ চার আর ৩ ছক্কায় ৯২ রান করা কিউই অধিনায়ককে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে রানআউট হন মার্ক চ্যাপম্যান (১১ বলে ২০)।

তবে পরের বলেই সেঞ্চুরি তুলে নেন উইল ইয়ং। তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে তার লাগে মোটে ৮২ বল। সৌম্য সরকারের করা শেষ ওভারে ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হন ইয়ং। ৮৪ বলে ১০৫ রানের ইনিংসে ১৪ বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার।

ওই ওভারেই আরও দুটি রানআউট করে বাংলাদেশ। টম ব্লান্ডেল ১ আর অভিষিক্ত ক্লার্কসনও আউট হন ১ করে। ৭ উইকেটে ২৩৯ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। তবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে ৩০ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৪৫ রানের।

শরিফুল ইসলাম ২৮ রানে নেন ২ উইকেট। মিরাজ ১ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৫ ওভারে ৫৫। মোস্তাফিজুর রহমান ৬ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। সৌম্যের সমান ওভারে উইকেটশূন্য থেকে খরচ ৬৩।

বৃষ্টিতে সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়। ব্যাটিংয়ে নামতে না নামতেই টাইগার পেসার শরিফুল ইসলামের তোপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ওভারের চতুর্থ আর শেষ বলে দুই কিউই ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান এই বাঁহাতি।

রাচিন রাবিন্দ্র ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে। হেনরি নিকোলস ধরা পড়েন দ্বিতীয় স্লিপে এনামুল বিজয়ের হাতে। দুজনই আউট শূন্য রানে। ৫ রানে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। তবে সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিউইরা লাথাম আর ইয়ংয়ের জুটিতে।

টস হয়েছিল সময়মতোই। ডানেডিনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামার আগেই হানা দেয় বৃষ্টি।

বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরে জানানো হয়, মাঠ প্রস্তুত করে আধ ঘণ্টা বিলম্বে শুরু হতে পারে ম্যাচটি। তবে আধ ঘণ্টা পরও শুরু করা যায়নি খেলা। কারণ মাঝে আবার হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে সিদ্ধান্ত হয় ম্যাচটি হবে ৪৬ ওভারের।

১৩.৫ ওভার হওয়ার পর বৃষ্টিতে অনেকক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। এরপর শুরু হলে ৪০ ওভারের ম্যাচ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ১৯.২ ওভারে ম্যাচ আবার বন্ধ হয় বৃষ্টির কারণে। এরপর ওভার কমিয়ে করা হয়েছে ৩০টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৫:৩৫   ৬৭ বার পঠিত