চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে মাঠে থাকা মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২০ জন। ১২৯ জনের মধ্যে গতকাল শেষদিন ৯ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে ১৬টি আসনে লড়বেন ১২০ জন। আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মিলে টিকে থাকা প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের অপেক্ষায়।
মাঠে লড়ছেন চট্টগ্রাম-১ এ ৭ জন, চট্টগ্রাম-২ এ ৮ জন, চট্টগ্রাম-৩ এ ৮ জন, চট্টগ্রামে-৪ এ ৬ জন, চট্টগ্রাম-৫ এ ৭ জন, চট্টগ্রাম ৬ এ ৫ জন, চট্টগ্রাম-৭ এ ৬ জন, চট্টগ্রাম-৮ এ ১০ জন, চট্টগ্রাম-৯ এ ৭ জন, চট্টগ্রাম-১০ এ ৯ জন, চট্টগ্রাম-১১ এ ৭ জন, চট্টগ্রাম-১২ এ ৮ জন, চট্টগ্রাম-১৩ এ ৭ জন,. চট্টগ্রাম-১৪ এ ৮ জন, চট্টগ্রাম-১৫ এ ৭ জন, চট্টগ্রাম-১৬ এ ১০ জনসহ মোট ১২০ জন চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মাঠে আছেন।
১৬টি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী সংখ্যা ও পরিচয়
চট্টগ্রাম–১ (মীরসরাই): এই আসনে বর্তমানে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন। তারা হলেন: আওয়ামী লীগের মাহবুব উর রহমান রুহেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মীরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুরুল করিম আবছার, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম–২ (ফটিকছড়ি): এই আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন। প্রার্থীরা হলেন: বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, ইসলামিক ফ্রন্টের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, জাতীয় পার্টির মো. শফিউল আজম চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের মো. হামিদ উল্লাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান।
চট্টগ্রাম–৩ (সন্দ্বীপ): এই আসনে বর্তমানে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন। প্রার্থীরা হলেন: বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা, সুপ্রিম পার্টির মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, জাসদের নুরুল আকতার, জাপার এমএ ছালাম, ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ উল্লাহ খান, ইসলামিক ফ্রন্টের আবদুর রহিম, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও এনপিপির মো. মোকতার আজাদ খান।
চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড): এই আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন। প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম আল মামুন, জাপার মো. দিদারুল কবির, তৃণমূল বিএনপির মো. খোকন চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. মোজাম্মেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেন।
চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী): এই আসনে নৌকার প্রার্থী ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম এবং কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এখন ভোটের মাঠে আছেন ৭ জন। প্রার্থীরা হলেন: বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তৃণমূল বিএনপির মো. নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মুক্তার আহমেদ, বিএনএফের আবু মোহাম্মদ সামশুদ্দিন ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ।
চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান): এখানে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন। প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের স ম জাফর উল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. সফিকুল আলম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম।
চট্টগ্রাম–৭ (রাঙ্গুনিয়া): এই আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী ৬ জন। তারা হলেন: আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সুপ্রিম পার্টির মো. মোরশেদ আলম, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমেদ রেজা, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম, জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা ও ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইকবাল হাসান।
চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী–চান্দগাঁও): এই আসনটি মহাজোটের মিত্র দল জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ। বর্তমানে ভোটের লড়াইয়ে আছেন ১০ জন। তারা হলেন: জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বিএনএফের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কিষাণ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহিবুর রহমান বুলবুল, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা, কল্যাণ পার্টির মো. ইলিয়াছ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, এপিপি মো. কামাল পাশা ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবদুল নবী।
চট্টগ্রাম–৯ (বাকলিয়া–কোতোয়ালী): এই আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী ৭ জন। প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় পার্টির সানজিদ রশিদ চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. ওয়াহেদ মুরাদ, ন্যাপের মিটল দাশগুপ্ত, ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম, কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ নূরুল হোসাইন ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সাহা।
চট্টগ্রাম–১০ (খুলশী, পাহাড়তলী, হালিশহর): এই আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী সংখ্যা ৯ জন। তারা হলেন: স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মনজুর আলম, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন বঈদী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম, জাসদের মো. আনিসুর রহমান।
চট্টগ্রাম–১১ (পতেঙ্গা–বন্দর): এখানে চূড়ান্ত ৭ প্রার্থী হলেন: বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চসিক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মো. মহিউদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, এনপিপির নারায়ণ রক্ষিত ও গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক।
চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া): এখানে ৮ চূড়ান্ত প্রার্থী হলেন: আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এম এয়াকুব আলী, জাতীয় পার্টির মো. নুরুচ্ছফা সরকার, ইসলামিক ফ্রন্টের কাজী মো. জসিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের সৈয়দ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জিহাদী ও ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন।
চট্টগ্রাম–১৩ (আনোয়ারা–কর্ণফুলী): এখানে ৭ চূড়ান্ত প্রার্থী হলেন: আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহমেদ চৌধুরী, সুপ্রিম পার্টির মো. আরিফ মঈনউদ্দিন, জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক, ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসাইন।
চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ): এখানে চূড়ান্ত ৮ প্রার্থী হলেন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলামী চৌধুরী, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, বিএনএফের মো. গোলাম ইসহাক খান, বিএসপির মো. আইয়ুব, জাতীয় পার্টির আবু জাফর মো. ওয়ালিউল্লাহ, তরিকত ফেডারেশনের মো. আলী ফারুকী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবুল হোসাইন।
চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া): এখানে চূড়ান্ত প্রার্থী সংখ্যা ৭ জন। তারা হলেন: বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব, জাতীয় পার্টির মো. ছালেম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আলী হোসাইন, কল্যাণ পার্টির সোলায়মান কাশেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. হারুণ ও মুক্তিজোটের মো. জসিম উদ্দিন।
চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী): এই আসনে ১০ চূড়ান্ত প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান, এনপিপির মুহাম্মদ মামুন আবছার চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মহিউল আলম চৌধুরী, কংগ্রেসের এম জিল্লুর করিম শরীফি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল মালেক, ন্যাপের আশীষ কুমার শীল ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শওকত হোসেন চাটগামী।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৪:০০ ১০২ বার পঠিত #নির্বাচন ২০২৪