বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে অসামান্য অবদান রাখা ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে চায়না-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ী কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। চীনা কোম্পানিগুলোও বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশে ছয় শতাধিক চাইনিজ কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। দেশের বিনিয়োগের পরিবেশ বাড়াতে কাজ করছে বিডা এবং দেশে এফডিআই করতে চীনা কোম্পানিগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বিসিসিআই মহাসচিব আল মামুন মৃধা বলেন, চীন-বাংলাদেশ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে স্থায়ী অংশীদারত্বের গভীরতা ও শক্তির প্রতীক। এবার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ১০ম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের ১৫টি এবং চীনের ১২টি প্রতিষ্ঠান এ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ অভূতপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের কাস্টমস ডেটা অনুযায়ী দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যা পারস্পরিক আস্থা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।
সিইএবির প্রেসিডেন্ট কে চাংলিয়াং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে, যা পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করেছে। ব্রিকস সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৮:১৬ ১০৬ বার পঠিত