রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সূতিভোলা খালে ডিএনসিসির নৌপথ চালুতে সহযোগিতা করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সূতিভোলা খালে ডিএনসিসির নৌপথ চালুতে সহযোগিতা করবে ঢাকা ওয়াসা
রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩



সূতিভোলা খালে ডিএনসিসির নৌপথ চালুতে সহযোগিতা করবে ঢাকা ওয়াসা

ঢাকা ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, সূতিভোলা খালে নৌপথ চালুর যে পরিকল্পনা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিয়েছে সেটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করবে ঢাকা ওয়াসা।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) গুলশানের ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ডিএনসিসির আওতাধীন খালসমূহের সীমানা নির্ধারণ, পরিবেশ উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকা ওয়াসা থেকে একটি প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মাদানি অ্যাভিনিউ এলাকার সূতিভোলা খালে নৌপথ চালুর যে পরিকল্পনা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিয়েছে সেটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব এবং সার্বিক সহযোগিতা করব।

এসময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম খালের সীমানা নির্ধারণ ও খালের পরিবেশ রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে সব সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন।

সভায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার আহমেদ বলেন, ঢাকার প্রকৃত খাল উদ্ধার করতে হলে সিএস দাগ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করতে হবে। নদী ও খালের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেকোনো প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অবশ্যই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। খাল ও নদী দূষণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান বলেন, ঢাকা শহরের জন্য ন্যাচার বেজড সলিউশন খুবই দরকার। খালের প্রশস্ততা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে বর্ষায় পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। বর্ষার পানির প্রবাহ কতটুকু পর্যন্ত হয় সেটি বিবেচনায় নিয়েই খালের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। শহরের যানজট নিরসনে খালগুলোকে উন্নয়ন করে নৌপথ চালু করা প্রয়োজন। আরেকটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যেন খালের মধ্যে কোনও সুয়ারেজ সংযোগ না থাকে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, আমরা খাল যতই প্রশস্ত করিনা কেন যদি সলিড ওয়েস্ট খালে ফেলা বন্ধ না হয় তাহলে সুফল পাওয়া যাবে না। তাই আইন প্রয়োগ করে এটি বন্ধ করতে হবে। আর অবশ্যই খালের পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে থাকতে হবে। ওয়াকওয়ে থাকলে খালে ময়লা ফেলার প্রবণতা অনেক কমে যাবে।

সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজার সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মাহে আলম, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্লানার্সের (বিআইপি) সভাপতি মো. ফজলে রেজা সুমন, বেলার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মুজাফফর ফয়সাল, নোঙ্গরের সভাপতি সুমন শামসসহ অন্যান্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৬:৫৯   ৮০ বার পঠিত