নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে তাদের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সকল প্রার্থীদের আমরা আহ্বান করেছি তাদের কথাগুলো শোনার জন্য। নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সাথে আলাপ হয়েছে। প্রার্থীরাও তাদের কথা বলেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলায় আমরা একটি অবাধ-সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবো। সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা আছে সেটা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া।
‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনা ঘটেনি। আর দু-একটা যেগুলো ঘটেছে সেগুলোর আমরা অ্যাকশন নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সচেষ্ট আছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন। সবকিছু নিয়ে আমাদের অ্যাকশন প্লান রয়েছে। এই নির্বাচনটা আমরা অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে যাচ্ছি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ যেসব কেন্দ্রেগুলোর জানাবেন সেগুলো আমরা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করবো।’
এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার, এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার, একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ্জাহান ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৩:৪৪ ১২০ বার পঠিত