নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত, তাহলে এনিয়ে সরকারের কেন সমালোচনা? তাছাড়া ড. ইউনূস কি আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে?
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. ইউনূস প্রসঙ্গে আমি শুধু এতটুকুই বলতে চাই— আপনি, আপনার স্ট্যাটাস, আপনার পজিশন, আপনার ব্যক্তিত্বের উচ্চতা এগুলো কি আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে? ড. ইউনূসকে কি আওয়ামী লীগ শাস্তি দিয়েছে? নাকি তাকে আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে?
তিনি বলেন, যেই শ্রমিকদের তিনি পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন, তারাই মামলা করেছে এবং আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে সরকারের কি করণীয় আছে? এখানে কেন সরকার সমালোচনার মুখোমুখি হবে? এটাতো যথাযথ নয়।
বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তারা কেন ভোট বর্জন করেছে, এটা তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই ভালো উত্তর পাবেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন যদি বর্জনই করবে, তাহলে আমরা কেন আলোচনা করলাম? তবে আমার মনে হয় না দলগতভাবে তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির যে ৫টি আসনে নির্বাচন থেকে সরে গেছে, সেগুলো তো কম্প্রোমাইজের সিট নয়। তারা ২৮৭ জন প্রার্থী দিয়েছে, এরমধ্যে ২/৪ জন সরে যেতেই পারে। জাতীয় পার্টির ইতিহাস কী বলে? এরশাদ সাহেবের সময় এবং পরে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা কত? মহাজোট ছেড়ে সরকার গঠনের মতো আসনের ধারে-কাছেও তারা নেই। সরকার গঠনের অনেক উপরে তারা প্রার্থী দিয়েছে। এখন কোনো অসুবিধার জন্য কেউ যদি নির্বাচন করতে না পারে, সেটা তাদের বিষয়।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা, যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছিল, নির্বাচন কেন্দ্র, সরকারী অফিস, রাস্তা কেটে ফেলা, বাসে-ট্রেনে আগুন, ৫ শতাধিক মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা। এবারও তারা ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নিজেদের জনগণ থেকে যথেষ্ট বিচ্ছিন্ন করেছে, যা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, আমরা অবিচল এবং অটল। আমাদের ওপর এই নির্বাচন ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। আমরা যেকোনো মূল্যে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করব, সেই প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১০:৩৮ ৯৮ বার পঠিত #নির্বাচন ২০২৪