পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বলেছেন, দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে পরবর্তী সরকারের আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “এই বর্তমান বিশ্বে (বিদেশের সাথে) সহযোগিতা, সহায়তা ও অংশীদারিত্ব অপরিহার্য। আমরা এই বছর ও তার পরেও আরও সহযোগিতার চাইছি।’
আজ বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশী কূটনীতিকদের সম্মানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ) আয়োজিত ‘মিট অ্যান্ড গ্রীট’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস এবং বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পঠিত ব্রিফিং নোটটিতে বলা হয়, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাজনীতির ধারাবাহিকতাকেও নির্ধারণ করে-যা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মৌলবাদ ও চরমপন্থা মোকাবেলায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” নোট কূটনীতিকদের মধ্যেও বিতরণ করা হয়।
নোটে বলা হয়েছে, নতুন সরকারের সূচনার সাথে সাথে বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সংহতি ও সংযুক্তার বিকাশের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার অভীন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
এতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বিঘœ গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া বজায় রাখার জন্য রোববারের নির্বাচনটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
নোটে আরও বলা হয়, “এটি গণতান্ত্রিক চর্চার বৈশ্বিক সীমারেখা অর্জনের দিকে আমাদের প্রচেষ্টায় আরও অবদান রাখবে। আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তেও সফল হবে- যা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গর্ব করবে।’
এতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচনের এই ফলাফল-বিগত তিন মেয়াদে টিকে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আকর্ষণীয় আর্থ-সামাজিক কর্মক্ষমতাকে আরও গতিশীল করার একটি নতুন সুযোগের সূচনা করবে। গণতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এই অর্জনগুলিতে অনেক অবদান রেখেছে।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের রায় দেয়ায় তারা খুবই খুশি।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব খুশি যে-আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অহিংস নির্বাচন করতে পেরেছি, … জনগণ তাদের রায় দিয়েছে … এটাই যথেষ্ট .. আমাদের আর কিছু প্রয়োজন নেই।’
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য অনেক দেশ নির্বাচনকে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও অহিংস’ বলে অভিহিত করায় সরকার এ ব্যাপারে আর চিন্তিত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৮:৫৯ ৯৩ বার পঠিত