অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য পাওনা টাকা চাওয়াই কাল হলো ফারুক হোসেনের। মারধরের পর ভুক্তভোগীর চোখ উপড়ে নেয়া হয়। নির্মম নির্যাতনের পর করা হয় হত্যা। এরপর নির্জন স্থানে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, নিজামকে টাকা ধার দিয়েছেলেন ফারুক। তবে সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে। ছেলে অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য পাওনা টাকা নিতে এসে নিজামের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান ফারুক। এ ঘটনার সূত্র ধরেই চলে রহস্য উঘাটনের চেষ্টা। গাজীপুর আর লক্ষীপুরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফারুক হোসেন ছিলেন রাজধানীর টঙ্গী এলাকার বাসিন্দা। কাজ করতেন টিকিট কাউন্টার ম্যান হিসেবে। পার্শ্ববর্তী কাউন্টারের ম্যানেজার নিজাম ছিলেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু। নিজামকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রহস্যের জট খোলে। সেইসঙ্গে গ্রেফতারকৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তথ্য পেয়েছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ী র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ফারুককে শায়েস্তা করতে প্রথমে ডেকে আনা হয় টিকিট কাউন্টারে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হতে থাকলে হাত-পা বেঁধে উঠানো হয় একটি বাসে। নির্মমভাবে নির্যাতনের পর উপড়ে ফেলা হয় তার এক চোখও। সবশেষ পিটিয়ে হত্যার পর ফেলে দেয়া হয় নির্জন স্থানে। হত্যাকাণ্ডের পর আত্মগোপনে চলে যান তারা।
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশে গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) চোখ উপড়ানো ওই মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও দেখতে পান তারা। থানা পুলিশের পাশাপাশি রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে র্যাবও।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৬:৪৮ ৬৮ বার পঠিত