চলমান শীত মৌসুমে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে টানা তিনদিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর-পশ্চিম থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসের সঙ্গে আরও কমতে পারে তাপমাত্রা। এতে করে বাড়বে শীতের তীব্রতা। যা জানুয়ারির পুরো মাস জুড়ে থাকার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে কেটে যাবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আবৃত চারপাশ। সকাল ১০টা বাজলেও দেখা নেই সূর্যের। সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশার শিশির। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়স্করা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বের হয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। তীব্র শীতে এখন পর্যন্ত নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের কাছে সরকারি কোন সহায়তা পৌঁছায়নি বলে দাবি অনেকের।
জেলা প্রশাসন বলছে, এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেলায় প্রায় ৩০ হাজারের মত শীত বস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন সময় সংবাদকে বলেন, ‘রাত থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো জেলা। সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল ৯টায় ও ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা আর উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এদিকে শীতের কারণে জেলার পাঁচ উপজেলায় বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:২৪ ৯৭ বার পঠিত