শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে জানি না, ‘দাম কমলেই শান্তি’

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে জানি না, ‘দাম কমলেই শান্তি’
শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪



কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে জানি না, ‘দাম কমলেই শান্তি’

সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। চাল-ডাল, মাছ-মাংস ও সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এতে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ ভোক্তাদের। তাদের দাবি, শুধু আশ্বাস দিলেই চলবে না, দাম কমাতে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রবাদ আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। এখন তা বলা মুশকিল! বাজারে চালের দামও লাগামছাড়া; প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে!

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর ও রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে আরও বেড়েছে চালের দাম। জাত ও মানভেদে মোটা, মাঝারি ও সরুসহ সব ধরনের চালের দর বস্তায় বেড়েছে ৩শ থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত ৩ সপ্তাহে কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ২৮-চাল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা, নাজিরশাইল ৭৮ থেকে ৮৪ টাকা, পাইজাম ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা ও মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, মিল-মালিকদের কারসাজিতে বাড়ছে চালের দাম। এখানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই। কিন্তু সরকার মিল মালিকদের বাৈইরে রেখে অভিযান চালায় শুধু খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে।

কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইস এজেন্সির আল হাসিব বলেন, বাজারে চালের দাম কমেনি; উল্টো বেড়ে গেছে। তবে বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। মিল মালিক ও অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়চ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মেসার্স সিরাজ অ্যান্ড সন্সের মালিক খোকন বলেন,

সরকার শুধু অভিযান পরিচালনা করে খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে। তবে এখানে কোনো সিন্ডিকেট নেই। দাম বাড়াচ্ছেন মিল মালিক। নিয়মিত অভিযান চালালে দাম এমনিতেই কমে আসবে।

এদিকে, চালের লাগামহীন দামে দিশেহারা ভোক্তাদের দাবি, অসাধু সিন্ডিকেট দমন করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। বাজারে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমলেই শান্তি। সেটা যেভাবেই হোক।

নিয়ামুল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, দুহাতে টাকা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। তাদের দৌরাত্ম্যে অস্থির হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। এদের শক্ত হাতে দমন না করা পর্যন্ত বাজারে স্বস্তি আসবে না।

মো. আইয়ুব আলী নামে আরেক ক্রেতা বলেন,

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার আশ্বাস দিয়েছেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আগামী জুলাইয়ের পর বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। তবে আমাদের কথা হলো, সরকার যেভাবে খুশি বাজার নিয়ন্ত্রণ করুক, সমস্যা নেই। দাম কমলেই ভোক্তার শান্তি।

ঊর্ধ্বমুখী ডাল-ছোলা ও আটা-ময়দার দাম

রোজার এখনও বাকি মাস দুয়েক। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দা, ডাল-ছোলা ও চিনির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১-২ টাকা দাম বেড়ে বাজারে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫২ টাকা ও প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। আর খোলা ময়দা ৬২ থেকে ৭০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের খুচরা দোকানদার সালাম বলেন, ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আটা-ময়দার দাম ১৫০ থেকে ১২০ টাকা বেড়েছে। তাই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।

এদিকে, কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, আর ৫ টাকা বেড়ে মসুরির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। এছাড়া ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

আর আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও।

বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। শুল্ক কমিয়ে লাভ নেই। পাইকারি পর্যায়ে দাম না কমলে খুচরা পর্যায়েও দাম কমবে না।

শীতকালেও গরম সবজির বাজার

অস্থির বাজারে স্বস্তি নেই শীতকালীন সবজিতেও। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সবজির সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা আসলাম বলেন, সরবরাহ কমায় শীতকালেও বাড়ছে সবজির দাম। বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমে আসবে।

আর ক্রেতারা বলছেন, শীতকালে সবজির দাম ৪০ টাকার নিচে থাকার কথা। তবে বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে। তাপস নামে এক ক্রেতা বলেন,

চাল ও মাংসের বাজারের মতো সবজির বাজারেও নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। নইলে দাম কমানো যাবে না।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি বেগুন জাতভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পুরান আলু ৭০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ২০ টাকা ও পেঁয়াজের কলি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আকারভেদে ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও ব্রকলি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেছে নতুন আলুর। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

এদিকে, পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়; আর পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা ও লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চড়া মাছের বাজার

বরাবরের মতো স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে সামান্য বাড়লেও তা সাধ্যের বাইরে বলছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতাদের দাবি, পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ না পাওয়া যাওয়ায় দাম কমছে না।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও তেলাপিয়া ২১০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, বাইম ১ হাজার টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন,

পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশি শিং-কৈ কিছুটা পাওয়া গেলেও, সেটির দাম চড়া।

আর ক্রেতাদের দাবি, দিন দিন মাছের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখনই লাগাম টেনে না ধরলে মাছ কেনা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

হাসিবুল নামে এক ক্রেতা জানান, মাছের বাজার অনেক চড়া। বিশেষ করে দেশি মাছের দাম নাগালের বাইরে। এতে বাড়তি দামে চাষের মাছই খেতে হচ্ছে।

ঊর্ধ্বমুখী মাংসের বাজারও

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়ে গেছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম। প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে লাল লেয়ারের দাম। তবে কিছুটা কমেছে সোনালি মুরগির দাম। আর গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। আর প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে লাল লেয়ারের। শীত বাড়লে দাম বাড়বে অন্যান্য মুরগিরও। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের রিপন বলেন,

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মুরগির রোগ-বালাই। মারা যাচ্ছে মুরগির বাচ্চা। শীত আরও তীব্র হলে সরবরাহ সংকট তৈরি হতে পারে। এতে আরও বাড়তে পারে দাম।

এদিকে, বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তবে গত মাসে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দিয়েছিল মাংস ব্যবসায়ীরা। তবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাজারে কেন বাড়তি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে। তাই দাম বাড়ানো হয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী খোকন বলেন,

দাম কমানোয় গরুর মাংসের বিক্রি বেড়েছিল, কিন্তু কম দামের কারণে লোকসান গুণতে হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখতে দাম ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে বাজারে বাড়েনি খাসির মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়। এছাড়া অস্থির বাজারে নতুন করে বাড়েনি ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম কমলেও চড়া আদা-রসুনের বাজার

অস্থির পেঁয়াজের বাজারে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে বাজারে দেখা নেই পুরাতন দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পুরোদমে উঠে গেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। এতে দাম কমছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা হাসিব বলেন, সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করলে দাম আরও কমবে।

এদিকে, কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৮০ টাকায় এবং কেজিতে থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আমদানি করা রসুন ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আড়ত পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।

এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে আদা-রসুনের।

ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে খেজুরের চাহিদা। এতে বাড়ছে দামও।

এছাড়া প্রতি কেজি মাল্টা ৩০০ টাকা, সবুজ আপেল ২৮০ টাকা, নাশপতি ২৫০ টাকা, আনার ৫০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা ও কমলা ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের এ অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

এদিকে, রোজায় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিতে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এসব পণ্য ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা যাবে। এই সুবিধার সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া এ ব্যবস্থা আসন্ন রমজান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পণ্যের যোগান নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:২৭:০৩   ৯০ বার পঠিত