কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও আজকে কমে যায় হাওড় ও পাহাড় বেষ্টিত মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ভোর থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে এসেছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের পরিমাণও কমেছে। তবে শীতের দাপট কমেনি। এতে সবচেয়ে বেশি বেকায়দা পড়ছেন গ্রাম ও শহরের নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের কারণে তারা সঠিক সময়ে কাজে বের হতে পারছেন না। অনেকে কাজও পাচ্ছেন না।
শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক আনিস আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার (২০ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস মৌলভীবাজারে রেকর্ড করা হয়েছে। এমন আবহাওয়া আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
তীব্র শীতে চা শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। এতে সর্ব সাধারণের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ, বাগানের চা শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র শীত নিবারণে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার দিকে তাকিয়ে আছে চা শ্রমিকসহ ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।
শ্রীমঙ্গলের সজুববাগ এলাকার হাবির উল্লাহ নামে এক কৃষক বলেন, ‘ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাদের বীজতলায় ধানের হালি চারার বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।
তমাল কালাকার নামে আরেক কৃষক জানান, গবাদী পশু-পাখি নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। নিজেদের ব্যবহৃত পুরোনো শীতবস্ত্র ও পাটের বস্তা গবাদী পশুদের গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।’
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৩:১৮ ৮৫ বার পঠিত