শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

বিয়ের দাবিতে গ্রিস প্রবাসীর বাড়িতে সৌদি প্রবাসী প্রেমিকার অনশন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিয়ের দাবিতে গ্রিস প্রবাসীর বাড়িতে সৌদি প্রবাসী প্রেমিকার অনশন
শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪



বিয়ের দাবিতে গ্রিস প্রবাসীর বাড়িতে সৌদি প্রবাসী প্রেমিকার অনশন

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের ঘোলেরগাঁও গ্রামে গ্রিস প্রবাসী প্রেমিক সুহেল মিয়ার (৩৫) বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তিনদিন ধরে অনশন করছেন সৌদি আরব প্রবাসী প্রেমিকা রেণু আক্তার (৩৪)। তবে সুহেলের পরিবারের দাবি, তারা জানতেন দুজনের মধ্যে ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক রয়েছে, প্রেমের বিষয়ে কিছু জানতেন না।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল থেকে ওই নারী সুহেল মিয়ার বসতঘরে গিয়ে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে গ্রামের ও আশপাশের লোকজন তাকে দেখতে আসে। এরইমধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

অনশনকারী রেণু আক্তার জানান, সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বেড়াজালী ঢুলপুসি গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। তিনি ২০১৫ সালে জীবিকার জন্য সৌদি আরবে গিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করেন। এ সময় রং নাম্বারে পরিচয় হয় গ্রিসে অবস্থানকারী সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের খায়রুন বাজারের পাশে ঘোলেরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল শহীদের ছেলে সুহেল মিয়ার সঙ্গে। তখন থেকেই গ্রীস প্রবাসী সুহেল মিয়া ও সৌদিতে অবস্থানকারী রেণু আক্তারের মধ্য ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন অ্যাপের ভিডিও কলে কথাবার্তা চলে এবং দুজন দেশে এসে একে অপরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। একপর্যায়ে প্রেমিক সুহেল মিয়া গ্রিসের সিটিজেনশিপের জন্য টাকার প্রয়োজন হলে রেণুর কাছে সহযোগিতা চান। পরে রেণু আক্তার জামালগঞ্জ উপজেলার সুহেলের খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমে ব্যাংক এবং বিকাশে মাধ্যমে মোট ৮ লাখ টাকা দেন। চার বছর আগে রেণু দেশে এসে সুহেলের বাড়িতে বেড়াতে যান এবং সুহেলের আপন ছোটভাই রাজুর হাতে তার সুহেলের জন্য কেনা স্বর্ণের একটি আংটি ও নগদ একলাখ টাকা তুলে দেন।

রেণু আক্তার বলেন, ‘আমার প্রবাস জীবনের ৮-১০টি বছরের কষ্টার্জিত প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রেমিক সুহেল মিয়ার জন্য ব্যয় করেছি। তাছাড়া আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল বিয়ে করবে। গত কয়েক মাস ধরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি বিকেলে প্রেমিকের বাড়িতে এলাম স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ের জন্য।’

প্রেমিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুহেল মিয়ার মা রাজিয়া খাতুন জানান, তিনি জানতেন ভাই বোনের মতো সম্পর্ক রয়েছে উভয়ের মাঝে। কিন্তু রেণু আক্তার বলেন প্রেমের সম্পর্ক। তারা বিষয়টি পারিবারিকভাবে খতিয়ে দেখছেন। টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয় তিনি জানেন না।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরীর জানান, কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:০৫:৪৩   ৮২ বার পঠিত