নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আটপাড়া উপজেলার পালগাঁও গ্রামের চান মিয়া ফকিরের ছেলে মো. নূরুল হক (৩৮), মো. সম্রাট মিয়া (৫০), সামছুল হক (৪৫), একই গ্রামের কালাম উদ্দিন মুন্সির ছেলে মো. মাসুদ মিয়া (৩০), গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. হিমন মিয়া (৩০) ও নূর মিয়ার ছেলে মো. রোকন মিয়া (৩০)।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। আগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মো. অসীম (২৫) ও মো. রাজু মিয়া (২৩)।
র্যাব-১৪ এর ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপন করে ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে আটপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুর রহমান জানান, যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের নেত্রকোণা বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, পালগাঁও গ্রামের সেলিনা আক্তার ও তার স্বামী খোকন মিয়ার সঙ্গে অসীম, রাজু, মাসুদসহ কয়েকজনের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক মামলাও ছিল। কিছু দিন আগে সেলিনা ওই তিনজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন।
এর জেরে ৩ জানুয়ারি রাতে অসীম ও রাজুসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেলিনার বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপর তারা সেলিনাকে উঠানে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সেলিনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে ৪ জানুয়ারি ভোরে সেলিনা মারা যান।
এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি নিহতের ননদ বেদেনা আক্তার বাদী হয়ে অসীম ও রাজুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৫:১৮ ৮০ বার পঠিত