চলতি মৌসুমে লা লিগায় বার্সেলোনাকে পিছনে ফেলে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লড়াই করছে লস ব্লাঙ্কোসরা জিরোনা। শীর্ষ স্থান নিয়ে এই দুই ক্লাবের লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে। কখনও জিরোনা আবার কখনও রিয়াল মাদ্রিদ। সবশেষ লাস পালমাসকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে ভিনি-রদ্রিগোরা।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে লাস পালমাসের ঘরের মাঠে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রিয়ালের। তবে শেষ সময়ে গোল আদায় করে নেওয়াটা যেন রীতিতে পরিণত হয়ে গেছে। রিয়ালের হয়ে এদিন একটি গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ফরাসি ফরোয়ার্ড মিডফিল্ডার ওরেলিয়াঁ শুয়ামেনি। পালমাসের হয়ে একমাত্র গোলটি আসে জাভিয়ের মুনোজের পা থেকে।
এদিন প্রথমার্ধে একপ্রকার গোল মিসের মহড়া চালিয়েছে রিয়াল। বিশেষ করে ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের অনুপস্থিতি ভালো ভুগিয়েছে তাদের। ভিনিসিয়ুস একা বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন বল জালে জড়ানোর। কিন্তু সাফল্য ধরা দিচ্ছিল না। লাস পালমাস এই অর্ধে জাল অক্ষত রাখার তৃপ্তি নিয়েই বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে রিয়ালের ধীর গতির সুযোগ নিয়ে ৫৩তম মিনিটে স্রোতের বিপরীতে গোল আদায় করে নেয় লাস পালমাস। সান্দ্রো রামিরেজ ডান দিক থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে বল নিয়ে বক্সের দিকে নিচু ক্রস দেন। যা থেকে গোল আদায় করেন হাভিয়ের মুনোজ।
তবে এগিয়ে থাকার স্বস্তি দীর্ঘায়িত হয়নি স্বাগতিকদের। কারণ বহু চেষ্টার পর ৬৫তম মিনিটে লক্ষ্যের খোঁজ পান ভিনিসিয়ুস। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পাসে ৮ ম্যাচে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিজের নবম গোল আদায় করেন। সমতার পর স্বাভাবিকভাবেই রিয়ালের খেলায় গতি ফিরে আসে। মুহুর্মুহু আক্রমণ শানায় তারা।
কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষায় থাকতে হয় ৮৪তম মিনিট পর্যন্ত, যখন জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের সেট-পিসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠান বদলি হিসেবে নামা শুয়ামেনি। বাকি সময় আর কোনো বিপদ হতে দেয়নি রিয়াল। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
২১ ম্যাচে ১৭ জয়ে রিয়ালের সংগ্রহ এখন ৫৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট দুইয়ে থাকা জিরোনার। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৮:৪৬ ৮০ বার পঠিত