বাংলাদেশ থেকে কৃষিখাতে দক্ষ শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত Ganbold Dambajav। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে মঙ্গোলিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য নেই বললেই চলে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে পারি। আমাদের জনসংখ্যা মাত্র ৩৫ লাখ হলেও আমাদের প্রায় ৭.৫ কোটি প্রাণিসম্পদ রয়েছে। তারমধ্যে ঘোড়া, উট, গরু, ভেড়া, ছাগল প্রধান। এগুলোর পশম দ্বারা উন্নতমানের কার্পেট ও কম্বল তৈরি হয়। বিশেষত মঙ্গোলিয়ার কাশ্মিয়ার শাল (Mongolian Cashmere Shawl) পরিবেশবান্ধব ও পৃথিবী বিখ্যাত। বাংলাদেশ এগুলো আমদানি করতে পারে। এছাড়া, আমরা উন্নতমানের চীজ তৈরি করি। আমাদের গবাদিপশুর খাদ্য ঘাস হওয়ায় এর মাংসও অনেক সুস্বাদু। চীজ এবং মাংসও আমরা রফতানি করি।
রাষ্ট্রদূত Ganbold Dambajav আজ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং বাংলাদেশে মঙ্গোলিয়ার অনারারি কনসাল (Honorary Consul for Bangladesh) নাসরিন ফাতেমা আউয়াল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কৃষি কর্মী নেয়ার মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমি এক দশক পূর্বে মঙ্গোলিয়া সফর করেছি। সেখানকার চিজ, মিল্ক, মিট অসাধারণ। তবে ভূমির তুলনায় জনসংখ্যা খুবই কম। কাজেই বাংলাদেশি দক্ষ কৃষিকর্মী পাঠানো গেলে তারা যেমন মঙ্গোলিয়ার কৃষিখাতে অবদান রাখবে তেমনি বাংলাদেশও লাভবান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৬:৪১ ১০০ বার পঠিত