ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ আজ বুধবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডি এবং লালবাগ সার্কেল ভূমি অফিসে এক ঝটিকা সফর করেন।
কোনো পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছাড়াই ভূমিমন্ত্রী ধানমন্ডি এবং লালবাগ সার্কেল ভূমি অফিসে গিয়ে প্রথমেই বাইরে অপেক্ষাগারে পরিচয় প্রকাশ না করে অপেক্ষমান ভূমিসেবা গ্রহীতাদের ভূমি অফিসের সেবার মান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন এবং সেবার মান উন্নয়নে তাঁদের কোনো পরামর্শ আছে কিনা তা জিজ্ঞেস করেন। বিভিন্ন সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূমিসেবা গ্রহীতাকে জানান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত ভূমিসেবা দিচ্ছে ভূমি অফিস। ভূমিমন্ত্রীর সাথে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার যুগ্ম সচিব মোঃ খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রীর আসার খবর পেয়ে এসময় সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ডসহ অন্যান্য ভূমি কর্মকর্তারা বাইরে অপেক্ষাগারে আসলে তাদেরকে সেবা প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন মন্ত্রী। পরে মন্ত্রী সার্কেলের ডিজিটাল সেবা ড্যাশবোর্ড এবং দাপ্তরিক দলিলাদি পরিদর্শন করেন। ট্রান্সফার দলিলের মাধ্যমে যেসব নামজারির আবেদন হয় তা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে এসময় ভূমি কর্মকর্তাদের অনুশাসন প্রদান করেন ভূমিমন্ত্রী।
বর্তমানে জমির রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে হালনাগাদ মিউটেশন ও ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ দেখেই রেজিস্ট্রেশন করা হয়। বিক্রি কিংবা অন্য কোনোভাবে ভূমি হস্তান্তরের পূর্বেও উল্লিখিত জমি একই ভূমি অফিসের মাধ্যমেই নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কিছু আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দ্রুত নামজারি করে দিলে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয়না এবং জনগণেরও সুবিধা হয়। এছাড়া, রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ উদ্যোগের মাধ্যমে এই ধরণের নামজারি স্বয়ংক্রিয় করার উদ্যোগ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। জনগণের সুবিধার্থে ভূমিমন্ত্রী একারণে ট্রান্সফার দলিলের মাধ্যমে যেসব নামজারির আবেদন হয় তা এখন থেকেই দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যাপারে ভূমি কর্মকর্তাদের অনুশাসন প্রদান করেন।
(সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল কলম সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাওয়ার আহবান ভূমিমন্ত্রীর)
এর পরে, অপরাহ্ণে ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)-এ আয়োজিত খুলনা জেলার রূপসা, ডুমিরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত বেসিক জার্নালিজম ট্রেনিং-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বর্ণনা করে উপস্থিত সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল কলম সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাওয়ার আহবান করেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজে কোনো ত্রুটি থাকলে তা সংবাদের মাধ্যমে তুলে ধরা উচিত, আবার উন্নয়ন কাজ সুষ্ঠুভাবে হলে তাও তুলে ধরা উচিত। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূল সংবাদের সাথে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটও তুলে ধরার উপর গুরত্বারোপ করেন ভূমীমন্ত্রী। অনেক সময় সংবাদের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা না হলে তা সংবাদকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয় বলে মন্ত্রী এসময় মতামত ব্যক্ত করেন।
পরে ভূমিমন্ত্রী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকের মাঝে সনদপত্র তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৯:০৩ ৮৩ বার পঠিত