বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

নেপালকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশের যুবারা

প্রথম পাতা » খেলাধুলা » নেপালকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশের যুবারা
বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪



নেপালকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশের যুবারা

যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে হলে জটিল সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে। যেখানে সহজ হিসাব— বড় ব্যবধানে জয়। সে কারণেই হয়তো নেপালের লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত জয়ের তাড়না দেখিয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। যদিও দ্রুত জয় পাওয়ার চেষ্টায় তারা ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে। তা সত্ত্বেও সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৪৮ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখে নেপালকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে আজ (বুধবার) আগে ব্যাট করতে নেমে নেপালের পুঁজি ছিল ১৬৯ রানের। দ্রুত উইকেট হারিয়েও তারা বড় সংগ্রহের পথে ছিল। তবে বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে তোপ দেগেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ ও পারভেজ হোসেন জীবন। পরবর্তীতে সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন টাইগার ওপেনাররা। শেষ পর্যন্ত জিসান আলম ও আরিফুল ইসলামের ফিফটিতে বাংলাদেশ ২৫.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।

১৭০ রান তাড়ায় ওপেনিংয়ে জিশান যখন আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন, আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী ব্যাট করেছেন ধীরগতিতে। দুজনের ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ তোলে ৬৭ রান। ৩৪ বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শিবলী। এরপর তিনে নামা চোধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানও জিশানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত রান তোলার প্রতিযোগিতায় নামেন। সে কারণেই ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনিও। ১১ বলে ১টি করে চার-ছয়ে রিজওয়ান ফেরেন ১৫ রানে।

তারপরই বিদায় নেন ওপেনার জিশানও। যদিও এর আগে ডানহাতি এই ব্যাটার ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ৪৩ বলে ৬টি চার ও দুই ছয়ের বাউন্ডারিতে ৫৫ রান করেন জিশান। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিন ও আরিফুল মিলে যোগ করেন ৪৫ রান। সেই জুটি আরও বড় হলে রানরেট বাড়ানোর দিক থেকে উপকৃত হতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু আহরারের (১২) পর রানের খাতা খোলার আগে শিহাব জেমসও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অথচ তখন টাইগাররা জয় থেকে মাত্র ১৭ রান দূরত্বে ছিল।

বাকি কাজটা সামলেছেন আরিফুল ও শেখ পারভেজ জীবন। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল আজ অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে। মাত্র ৩৮ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৭টি চার ও দুটি ছক্কার বাউন্ডারিতে। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান জীবন করেন ৫ রান।

নেপালের হয়ে সব উইকেটই গেছে এক বোলারের দখলে। ডানহাতি অফস্পিনার সুভাষ ভান্ডারি ৪৪ রান খরচায় ৫ উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করা নেপাল নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার ১ বল আগেই অলআউট হয়ে যায়। তাদের হয়ে বিশাল বিক্রম সর্বোচ্চ ৪৮, দেভ খানাল ৩৫ ও সুভাষ ভান্ডারি ১৮ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ১৭ রানেই সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন বর্ষণ। যার বদৌলতে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। এছাড়া জীবন ৩ উইকেট পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১১:৩১   ৯৯ বার পঠিত