রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। তিনি বলেন, ইমার্জেনিস মারিটসেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স (ইএমআরসিআর) প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, রোহিঙ্গা যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষিত করা, হোম গার্ডেনিং প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় একটি হোটেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইএমআরসিআর শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে অভিজ্ঞতা শিখন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে সরকার জোরালোভাবে কাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী এ প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক অনুদানের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেনি ইএমআরসিপি প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. এটিএম মাহবুব-উল করিম। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার ১৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, পুষ্টি প্রভৃতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে বিধবা মহিলা ও প্রতিবন্ধী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রতি মাসে জনপ্রতি ১৩ ডলার করে নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দক্ষ এবং অদক্ষ রোহিঙ্গাদের কর্মক্ষম করে তোলার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে ৪০ মিলিয়ন ডলার অনুদান এবং ৩০ মিলিয়ন ডলার সফট লোন হিসেবে অর্থায়ন করছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশ প্রধান নাসিকো মোতোকাওয়া এ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। বিশ্ব ব্যাংকের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শিমন প্যারেজ বলেন, তারা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় ৫টি কম্পোনেন্ট নিয়ে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, শরণার্থী সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২১:২১ ১৩৬ বার পঠিত