নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও মেট্রোরেল করতে পেরেছেন। মেট্রোরেল যাতে নির্মাণ না হয়, সেজন্য ভয়ংকর হলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। অথচ সময় যে কত মূল্যবান, ঢাকার মানুষ হিসেবে আজ আমরা সেটি আজ বুঝতে পারছি। প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার মেট্রোরেলে বাংলাদেশ সচিবালয় (জাতীয় প্রেসক্লাব) স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলে যারা যাতায়াত করে, এখন তাদের দুই তিন ঘন্টা সময় বেঁচে যাচ্ছে। এটি অনেক আনন্দের। মেট্রোরেল আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে যুক্ত। অথচ মেট্রো রেল করার সময় হলি আর্টিজানের মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটানো হয়েছিল জাপানের সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যে সম্পর্ক, সেটি নষ্ট করার জন্য। এটি ষড়যন্ত্র ছিল। ঢাকাবাসী যেন মেট্রোরেলের মত এরকম একটি পরিবহন ব্যবস্থা না পায়, সেজন্য ষড়যন্ত্র ছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরন্ত শেখ হাসিনা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর একটি মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। একজন নাগরিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্নর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী পরে আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে যান এবং সেখানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয় (জাতীয় প্রেসক্লাব) মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ মিনিট। পথিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শাহবাগ- কারওয়ানবাজার-ফার্মগেট-বিজয় স্মরণী স্টেশনে প্রায় এক মিনিট করে যাত্রী নামা উঠার সময় ছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে হয়ে যেতো। এখন সেটা আনন্দের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, দিন বদলের যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, তাতে আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগে মতিঝিল থেকে মিরপুর পর্যন্ত যাতায়াতে যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এখন এই রোডে যানজট যেটা নিত্যদিনের ছিলো, সেটা কিন্তু নাই। যাত্রীদের ভোগান্তি নাই। মাত্র কয়েক মিনিটেই চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা কর্মচারিরা এখন মেট্রো রেলে যাতায়াত করেন। আগে যেখানে দুই ঘন্টা লাগতো, এখন মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিটে আগারগাঁও চলে যাচ্ছেন। এখন দেড় ঘন্টার মত সময় বেঁচে গেছে। দেড় ঘন্টা যানজটে বসে থেকে একটা ক্লান্তি চলে আসতো, এখন সেই ক্লান্তিটা নাই।’’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনই যেমন মিরপুর রোডে গণপরিবহনে যাত্রী নেই, চাপও নেই। আর এমআরটি লাইনের বাকিগুলো চালু হয়ে গেলে, ঢাকার পরিবেশটাই সুন্দর হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আগারগাঁও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য মো. মুসা, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালনার পরিষদের সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ আমার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোন সংস্থায় প্রথম সফর। আজকের অনুভূতিটা একটু ভিন্ন ধরনের, কারণ আজকে মেট্রোরেলে চড়ে সচিবালয় থেকে আগারগাঁও এসেছি।’ প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর আহবান জানিয়ে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা থাকতে হবে, শৃঙ্খলা রাখতে হবে। আমার খুব ভালো লাগছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেন, বর্তমানে সেই স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের এফডিআর-এ জমা আছে ৮০০ কোটি টাকা। আগামীতে সেটি মিলিয়ন বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে ইনশাল্লাহ্ ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০১:০৯ ৭৫ বার পঠিত