কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় কুমিল্লা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
মেয়র পদে কুমিল্লা চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং তাদের মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বাস প্রতীক পেয়েছেন, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য নূর উর রহমান মাহমুদ তামিম চেয়েছেন হাতি। তাকে হাতি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুইবারের সাবেক মেয়র বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু চেয়েছেন টেবিল ঘড়ি এবং বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার চেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। তাদেরকে পছন্দের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর একই প্রতীকে নির্বাচন করেছেন বিএনপির এই দুই নেতা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা তাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাতে পারবেন। শুক্রবার থেকেই প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে প্রতি তিন ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা। এছাড়া সভা ও উঠান বৈঠক করতে অবশ্যই পুলিশকে জানাতে হবে। মাইক ব্যবহারে অনুমতি নিতে হবে। কোনভাবেই এসএসসি পরীক্ষা ব্যাহত হয় এমন কোনো প্রচারণা করা যাবে না।
আগামী ৯ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ১০৫টি কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতীক বরাদ্দ সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, দুপুর ২টা থেকে প্রতি ওয়ার্ডে একটি মাইক ব্যবহার করা যাবে, কোথাও কোনো খাবার ও পানীয় বিতরণের সুযোগ নেই, উঠান বৈঠক পথসভা অবশ্যই পুলিশকে জানাতে হবে, প্রচারণায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করা যাবে না এবং মনিটরিং কমিটিতে প্রার্থীদের প্রতিনিধি থাকবে।
২০২২ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে তৎকালীন মেয়র বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মেয়র রিফাতের মৃত্যুতে পদটি আবার শূন্য হয়। তাই মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৫:২৪ ৬৮ বার পঠিত