নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি বাড়িতে দিপালি রানী নামে এক নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এসময় নিহতের স্বামীকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার লেজারার্স আবাসিক এলাকায় কাউসারের ভাড়াটিয়া বাড়িতে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় ঘটে। নিহত দিপালি রানী দাসের (৪২) বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থেকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, সকালে নিহতের মেয়ে পলি ঘরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে শ্যামাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় আহত শ্যামা তার মেয়ে পলি রানীর কাছে ঘটনা উল্লেখ্য করে।
নিহতের মেয়ে পলি রানী জানান, প্রায়ই দীপালির সাথে পাশের ভাড়াটিয়া ফরিদার ঝগড়া হয়। বুধবারও রান্না করা নিয়ে ফরিদার সঙ্গে নিহতের ঝগড়া হয়। রাতে নিহতের মেয়েরা ঘরের দরজা খোলা দেখেেই তাদের আত্মীয় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে যায়।
এসময় ফরিদা তার ঘরে স্পিকারে সাউন্ড দিয়ে গান বাজিয়ে পরে তাদের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরি দিয়ে দিপালিকে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় দিপালীর স্বামীকেও ছুরিকাঘাতে আহত করে পালিয়ে যায়।
নিহতের আরেক মেয়ে মলি রানী বলেন, আমার মা অন্যের বাড়িতে গৃহতকর্মীর কাজ করে আর বাবা মুচি তাই সময় মতো ভাড়া দিতে না পাড়ায় এরে আগে একাধিকবার ঘরভাড়ার টাকা নিয়ে তার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। ঝগড়ার জেরেই দিপালিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তার মেয়ে।
এদিকে সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বন্দর) শেখ বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় বাড়ির কেয়ারটেকার ফরিদা বেগম ও তার ছেলে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
পাশাপাশি হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার ঘটনার তদন্ত চলছে। শুধু মাত্র ঝগড়ার জেরে হত্যা নাকি অন্য কোন কারণ আছে, বা অন্য কেউ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না সেসব বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৩:৫৮ ১৮২ বার পঠিত