বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমজাকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া, গণমাধ্যমের বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না।
আজ শুক্রবার চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরি কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ না গণমাধ্যম শক্তিশালী ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সরকার সঙ্গে আছে। সেক্ষেত্রে আমরাও আপনাদের কাছ থেকে একই ধরনের সহযোগিতা চাই এবং কিভাবে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থাৎ গণমাধ্যম এবং সরকারের মধ্যে একটি সহযোগিতার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং আরো শক্ত ভিত্তির এই গণমাধ্যমকে দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করতে পারি।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় অনেক সময় নিরপক্ষেতার কথা বলতে গিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়। সবক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হয় না। যুগ পরিবর্তন হচ্ছে, পেশাগত কাজে পরিবর্তন আসছে। তাই যারা গণমাধ্যমে কাজ করছেন তাদেরকে প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে। সকল বাস্তবতায় গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সকল ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
মন্ত্রী বলেন, হত্যা এবং হত্যাকারীর বিষয়ে অপরাধীর পক্ষ নেয়া যাবে না। তখন সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা যেন বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখি। অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দিব না। গণমাধ্যমে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিশ্চয়ই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অনুধাবন করেন এবং তা সমাধান করবেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কিভাবে সরকারকে সঠিক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে জবাবদিহিতায় আনতে পারে, এমনকি সমালোচনাও করতে পারে সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমি যে কথাটি গত কিছুদিন ধরে বলে আসছি এবং এখনো বলছি- আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ওই গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে চাই।
চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারী ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৭:০৫ ৮৩ বার পঠিত