ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির সাথে বিচ্ছেদের পরে দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। এবার সব কিছু ছাপিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। অন্যদিকে চলতি বছর এ তারকার তিনটি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় তুলে ধরেন। বলেন, আর পেছনে ফিরে তাকাতে চান না তিনি।
মূলত গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিচ্ছেদ হয় রাজ ও পরীমণির। তখন থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রেখে নিজেকে ঠিক করেছেন অভিনেতা। একের পর এক নতুন কাজে যুক্ত হয়েছেন তিনি। তার সময় যেন কাজের মধ্যে বয়ে চলে।
এ সময় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রাজ বলেন,
এক ছাদের নিচে বসবাস করা দুটো মানুষ আলাদা হয়ে গেলে কেমন লাগে, সেটা যাদের হয় তারাই বুঝেন। এছাড়া ওই সময় আমার সন্তানকেও মিস করছিলাম খুব। প্রতিদিন যে সন্তানকে দেখছি, খেলছি, আদর করছি— সেই সন্তানের সঙ্গে হঠাৎ করেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াটা খুবই কষ্টদায়ক ছিল। তবে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এক কথায় বলা যায়, সময়টা আমার জন্য ভালো ছিল না।
বর্তমান নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন বেশ ভালো আছি। কাজের মধ্যে ভালো সময় কাটছে। অনেক নতুন কাজ হাতে আছে। এছাড়া নতুন নতুন চিত্রনাট্য হাতে আসছে, সেসব পড়ছি। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।’
বলা দরকার, আসন্ন ঈদুল ফিতরে রাজ অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পাবে। সিনেমাগুলো হলো— গিয়াসউদ্দীন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ এবং মিশুক মনিরের ‘দেয়ালের দেশ’।
প্রসঙ্গত, পরীমণি এবং শরিফুল রাজ ‘গুণিন’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েই সম্পর্কে জড়ান। এরপর প্রেম পর্ব কাটিয়ে বসে যান বিয়ের পিঁড়িতে। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরীমণি ও শরীফুল রাজ। ২০২২ সালে এই দম্পতির সংসারজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান।
২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমণির। তবে ‘রানা প্লাজা’ (২০১৫) সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। পরীমণির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মা, গুণিন, মুখোশ, বিশ্বসুন্দরী, স্বপ্নজাল, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, রক্ত, মহুয়া সুন্দরী প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৫:০৫ ৫৮ বার পঠিত