নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, একটি সংগ্রামের নাম, একটি শক্তির নাম, উন্নয়নের নাম, প্রেরণার নাম, স্বপ্নের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যতদিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। গোটা দুনিয়ার মুক্তিকামী জনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন প্রাসঙ্গিক। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের উপর ভিত্তি করে সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
রোববার (১৭ মার্চ) বাংলামটরস্থ বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয় ফেয়ারলী হাউজে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না, বাঙালি পরিচয় দিতে পারতাম না, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না- তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সকল পরাধীনতা দূর করে বাঙালির বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় একজন মহামানবের জন্ম হয়েছিল। তিনি সমগ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে তিনি যেভাবে ধারণ করেছেন, অন্য কেউ সেটি পারেননি। ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বাস তৈরি করেছেন। ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতির ভিত্তিতে পৃথক ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র হলেও তিনি প্রকৃত স্বাধীনতার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন এ স্বাধীনতা প্রকৃত স্বাধীনতা নয়। তিনি প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য ছয় দফা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে সেটি মানা সম্ভব ছিল না। বিভিন্ন স্থানে, রেসকোর্স ময়দানে বক্তৃতা দিয়ে বাংলার মানুষকে তিনি সম্পৃক্ত করেছেন। মানুষ মনে করেছে বঙ্গবন্ধু প্রকৃত নেতা, তিনি আমাদের নেতৃত্ব দিতে পারবেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। জনগণ বঙ্গবন্ধু একাত্ম হয়ে গিয়েছিল।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে অসাধ্য সাধন করেছেন। এই অসাধ্য সাধনকে মলিন করে দেয়ার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের কোন উন্নয়ন হয়নি। জিয়া, খালেদা জিয়ারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কালিমা লেপন করার চেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেয়নি। তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে শারীরিকভাবে হত্যা করা হলেও তাকে ও তার পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা না করলে তাদের রাজনৈতিক সফলতা আসবে না।
‘বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শরিফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মো. মাহমুদুল মালেক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৭:৫৬ ৭৩ বার পঠিত