উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছেলের পক্ষে দলীয় বা রাজনৈতিকভাবে কোন প্রভাব খাটাননি বলে জানালেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। এছাড়া এ নির্বাচনে তার ছেলের অংশ নেয়াটাও অবৈধ নয় বলে দাবি করেন তিনি।
বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে শহরের আসমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শাজাহান খান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছেলের নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করি নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বলেছেন যার যার নির্বাচন সে করবে। এখানে দলীয় কোন বাধা নেই। একবার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের আত্মীয় বা স্বজন নির্বাচন করতে পারবেন না। পরে এটা নিয়ে সংসদেও কোন আলোচনা হয়নি, আর কোন সিদ্ধান্তও হয়নি। আমার ছেলে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এটা অবৈধ নয়। একজন মানুষের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সে প্রয়োগ করছে।’
শাজাহান খান আরও বলেন, ভোট বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হয়েছে। এ ভোট ও ভাতের লড়াই ১৯৯৬ সাল থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই লড়াইয়ে আজ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বিএনপি ও কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না জেনে, তারা নানাভাবে এ ভোটকে বিভিন্ন সময় বর্জন করেছে। তারা ভোট বর্জন করে, আবার ভোটে অংশগ্রহণ করে। তাদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, রাজনীতি করতে হলে একটি নীতি থাকতে হয়। সত্য কথা সাহসের সঙ্গে বলতে হয়। বিএনপি সত্য কথা বলতে পারে না। মিথ্যা কথা যতই বলে প্রচার করে, জনগণ তা বিশ্বাস করে না।
শাজাহান খান আরও বলেন, ‘আমার বাবা মৌলভী আসমত আলী খান ছিলেন মহাকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আর মাতা ছিলেন মহাকুমা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সে সময়ে আমি ছিলাম স্থানীয় ছাত্রলীগের সভাপতি, পরে সাধারণ সম্পাদক। এটা আমাদের রাজনীতি, পারিবারিকভাবেই যে ঐতিহ্য বহন করে আসছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমার বড় ছেলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।’
জানা যায়, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-০২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খান এবং শাজাহান খানের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে চেয়ারম্যান পদে মোট দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ২২ হাজার ৪২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৬ হাজার, নারী ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৪২১ জন। আর ৫ জন রয়েছে অন্য ভোটার। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ১১৭টি, যার ৭৯৪টি কক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ভোটাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১০:৫০ ৭১ বার পঠিত