গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের এক অভিযানে ১২ ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করার দাবি করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড। খবর আনাদোলুর।
বুধবার এক বিবৃতিতে আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, ‘উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে অভিযান চালায় আল-কাসাম যোদ্ধারা। তারা ইয়াসিন-১০৫ নামের একটি শেল দিয়ে ইসরায়েলের ডি-৯ সামরিক বুলডোজারকে লক্ষ্যবস্তু করে। এতে দুই ইসরাইলি সেনা নিহত হন। পরে একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা একটি ইসরায়েলি ফোর্সকে লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করে হামাস, সেখানেও একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলি বাহিনী একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি মারকাভা ট্যাঙ্কে একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ফলে পুরো অভিযানে কমপক্ষে ১২ ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আমাদের যোদ্ধারা।’
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার জাবালিয়ায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ভুলবশত নিজেদের চালানো হামলায় ওই ট্যাঙ্কটিতে আগুন ধরে যায়। এতে পাঁচজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বৃহস্পতিবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হতাহত সৈন্যরা সবাই প্যারাট্রুপারস ব্রিগেডের ২০২তম ব্যাটালিয়নে কাজ করেছিল এবং তারা একটি অতি-অর্থোডক্স কোম্পানির অংশ ছিল।
আইডিএফ-এর তথ্য অনুসারে, বুধবারের ঘটনার পর গত অক্টোবরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানে এবং সীমান্তে অভিযানে নিহত ইসরায়েলি সৈন্যের সংখ্যা ২৭৮ এ জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি লাগাতার হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ হাজার ১৭৩ ফিলিস্তিনি। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫০:৫৫ ১১০ বার পঠিত