টানা চতুর্থ বারের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাপ কাবাডি আয়োজন করছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। ২৬ মে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাবাডি ফেডারেশন। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মতুর্জা।
কাবাডির অনুষ্ঠানে এর আগেও এসেছিলেন তিনি। আজ এসে আবার দেশের সকল খেলার গুরুত্ব প্রদান ও মর্যাদার কথা বলেছেন, ‘আমি সব সময় সব খেলার পক্ষে। আপনারাই (মিডিয়া) ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দেন। অন্য খেলাকেও গুরুত্ব দেয়া দরকার।’
অন্য খেলার গুরুত্বের বিষয়টি তিনি নিজেই বিশ্লেষণ করেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে কিন্তু সারা বিশ্ব জানে না। আমরা যদি অলিম্পিকে একটা পদক জিততে পারি সারা বিশ্ব চিনবে। সেটা হবে বড় অর্জন। ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে অলিম্পিক পদক জেতা অনেক বড়।’
বাংলাদেশের জন্য অলিম্পিক খুব বড় স্বপ্ন। দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডির বাইরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তেমন সাফল্য দেশের প্রায় সব খেলাতেই। ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়াডে বক্সার মোশাররফ ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। সেটাই বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত বড় অর্জন। ফলে অলিম্পিকের চিত্রটাও মাশরাফির জানা, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ বড় স্পোর্টস নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস অলিম্পিক। সেখানে আমরা এখন হিটেই বাদ পড়ে যাচ্ছি। হিট থেকে ফাইনালে উঠতে হবে এরপর পদকের লড়াই।’
ক্রিকেট, ফুটবল বাদে দেশের অন্য সকল খেলোয়াড়দের আর্থিক অবস্থা খুব দুর্বল। অন্য ফেডারেশনগুলোও খেলোয়াড়দের সেভাবে আর্থিক সহায়তা করতে পারেন না। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক টানা দুই বারের জাতীয় সংসদ সদস্য। এবার তিনি সংসদের হুইপও। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যও তিনি। খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও ফেডারেশনের সামর্থ্য বাড়াতে নিজের উদ্যোগ গ্রহণের চেয়ে মিডিয়া ও ফেডারেশনের উপরই দায়িত্ব দিলেন বেশি।
তিনি বলেন, ‘সংসদীয় কমিটিতে কোনো বিষয় আসলে আমি অবশ্যই আলোচনা করব। যা করার চেষ্টা করব। আপনারাই পারেন অন্য খেলাগুলোকে এগিয়ে নিতে। আজ যেমন কাবাডিতে এসেছেন তার মানে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আসলে সব কিছুর সমন্বয় দরকার। খেলাধূলায় বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিনিয়োগ আসতে লাগে ফোকাস। সেই ফোকাস আপনারা (মিডিয়া)। ফোকাস থাকলে স্পন্সর আসবে। ক্রিকেটের বোর্ডের অর্থ আছে, অন্য ফেডারেশনের সেভাবে নেই। সুবিধা থাকলে খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। ট্রেনিং নিয়মিত, ইনজুরি হলে ব্যবস্থা। এই জিনিসগুলো থাকলে অন্য খেলায় আসবে। কাবাডিতে যেমন চলছে।’
অনেক ফেডারেশনে শীর্ষ পদে অনেক সংগঠক রয়েছেন যুগের পর যুগ। খেলার তেমন উন্নতি নেই। নেতৃত্বের সংকট নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে প্রশ্ন উঠে। ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনো খেলায় এগিয়ে আসার আগ্রহ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘আমি একা তো আর সব দায়িত্ব নিতে পারব না। নেতৃত্বের সংকট আছে বলে মনে করি না। সব ফেডারেশনের ব্যাপারে আমি জানিও না, যাইও না। যেকোনো খেলায় ডাকলে আমি যাই।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৭:৫৫ ৮৩ বার পঠিত