শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

পুলিশ পরিচয়ে কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পুলিশ পরিচয়ে কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪



পুলিশ পরিচয়ে কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মো. আলকাম (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মো. আলকাম ধামরাই উপজেলার সোয়াপুরের আনন্দনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবে ছেলে।
তিনি নবাবগঞ্জের আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়া এলাকায় থাকতেন।

আলকাম নিজেকে কখনও কামরুল কখনও আরিফ কিংবা কখনও ডলার নামে পরিচয় দিতেন এবং পুলিশের পোশাক ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন।

শুক্রবার ( ৩১ মে ) দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

এএসপি আশরাফুল আলম জানান, কয়েক মাস আগে আলকাম নিজেকে সিআইডি পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে ভিকটিম কিশোরীর কাছ থেকে মোবাইলফোন নম্বর নেন। পরে ভিকটিমের মাকে কল দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। তবে মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় এ মুহূর্তে বিয়ে সম্ভব নয় জানালে আকলাম তাদের আশ্বস্ত করেন ভিকটিমের বয়স ১৮ বছর হলে বিয়ে করবেন। সুচতুর আলকামের এমন কথায় বিশ্বাস করে ভিকটিমের পরিবার। এরপর মোবাইলেই সুসম্পর্ক গড়ে উঠে আলকাম ও ওই কিশোরীর মধ্যে। গত ৩১ মার্চ দুপুরে কিশোরী গালিমপুর বাজারে ওষুধ কিনতে গেলে তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে ঢাকার একটি হোটেলে নিয়ে যায় আলকাম। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন আলকাম এবং ঘনিষ্ঠ মহূর্তের ছবি ও ভিডিও করে রাখেন। এক মাস পর মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন আকলাম। কিছুদিন পর বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ধারণকৃত অশ্লীল ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আকলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ভিকটিমের পরিবার। এসময় আকলাম তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আকলাম পুনরায় ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন।

এঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আকলামকে প্রধান আসামি করে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করলে তদন্তে নামে পুলিশ। মামলার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যমে মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আসামির ভাড়া বাসা থেকে আলকামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল, মোবাইলফোন, পুলিশের পোশাক ও পুলিশের জুতা জব্দ করা হয়।

এএসপি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে পর্ণ ভিডিও তৈরি করার কথা স্বীকার করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১২:৫০   ৭০ বার পঠিত