বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

খ্রিস্টান দেশ ও বিমানঘাঁটি বানানোর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » খ্রিস্টান দেশ ও বিমানঘাঁটি বানানোর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
বুধবার, ৫ জুন ২০২৪



খ্রিস্টান দেশ ও বিমানঘাঁটি বানানোর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে বিদেশি এক দেশ খ্রিস্টান রাষ্ট্র ও বঙ্গপোসাগরে বিমানঘাঁটি গড়ে তুলতে চায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকা। দেশটি বলেছে, অভিযোগের ইঙ্গিত সুস্পষ্ট নয়। আর যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলে থাকলে তা সঠিক নয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ বিষয়ে কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন, একজন শ্বেতাঙ্গ লোক তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিল তিনি যদি বাইরের কোনো দেশকে বিমানঘাঁটি করার সুযোগ দেন তাহলে বিনা চাপে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আরেকটি পূর্ব তিমুরে পরিণত করা এবং বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশের ও মিয়ানমারের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। আপনি যেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং আইনের শাসন ও দুর্নীতি দমনের দাবি করছেন; শেখ হাসিনা কি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে খুব বেশি তীর ছুড়ছেন?

জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে, এই মন্তব্যগুলো কাদের ইঙ্গিত করে করা হয়েছে। তবে যদি এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয় তবে আমি বলবো মন্তব্য সঠিক নয়।’

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে মিলার জানান, নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য করবেন না তিনি।

সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত রবিবার আদালতকক্ষে আসামিদের অন্ধকার ও লোহার খাঁচার মতো ঘরে প্রবেশ করে বলেছিলেন, তিনি তার অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে আছেন। একইভাবে, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, আইনের শাসন এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আমরা দেখেছি আপনি কিছু নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, যার মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে আছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং পুলিশ প্রধান। আপনি কি মনে করেন, গত বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এটা যথেষ্ট হবে? নাকি আপনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক-গণতন্ত্রকামী জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য আরও পদক্ষেপ বিবেচনা করবেন, যেমনটা আপনি আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি যে, ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে। আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকায় ড. ইউনূসের জন্য একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা অব্যাহত রাখব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৫:০১   ৬৬ বার পঠিত