শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
শনিবার, ৮ জুন ২০২৪



নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র (সিরডাপ)’র নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসির (আর.এফ.ই.ডি) উদ্যোগে আয়োজিত স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতিকের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন।
গত ৪ থেকে ৬ জুন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সিরডাপের ২৪তম সভায় ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে মো. তাজুল ইসলাম এমপি’কে পরবর্তী দুইবছরের জন্য সংস্থাটির গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়৷
একই সঙ্গে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন সদস্য রাষ্ট্র ফিজি’র পল্লী ও সমুদ্র উন্নয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সাকিয়াসি রাইসেভু দিতোকা এবং মহাপরিচালক নির্বাচিত হন সদস্য রাষ্ট্র ভারতের ড. পি. চন্দ্র শেখর।
তাজুল ইসলাম বলেন, পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে সিরডাপ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পল্লীর জনগণের আর্থিক উন্নয়ন এবং আকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে ৪৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল৷
তিনি বলেন, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণে খুব বেশি সফলতা অর্জন করতে পারেনি৷ প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণে খুব বেশি অবদানও রাখতে পারেনি৷ তাই নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্বসূরিদের স্বপ্নপূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, একটি রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণ বিষয়ে কারও দ্বিমতেরও সুযোগ নেই। কিন্তু মতভেদটা হচ্ছে মূলত আইন সংশোধন নিয়ে। আইন মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণের জন্য সংশোধন হয়৷ পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোতেও তাই হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রেখে আইন সংশোধন হচ্ছে। আর মতপার্থক্য যা হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মতামত প্রদানের অধিকার থাকবেই। এখানে যেমন ভাল কাজের প্রশংসা করার সুযোগ থাকে, মন্দ কাজের সমালোচনা করারও সুযোগ থাকে৷ মাঝে মাঝে আমার ভাল কাজেরও সমালোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে এই সমালোচনা আমাকে আরও উদ্যোমী হতে সাহায্য করে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক ব্যবহারের সমালোচনা যেমন হয়েছিলো, প্রতীক ব্যবহার না করার ক্ষেত্রেও মতভেদ আছে৷ সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা- ৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগে. জে. (অবঃ) শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) ’র সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আব্দুল আলীম৷
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি এর চেয়ারম্যান একরামুল হক সায়েম।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৮:২১   ৩৪ বার পঠিত