ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) জমি কোনো মাদকচক্র ও ভূমিদস্যুদের কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার (৯ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে মীরনজিল্লা (বংশাল) পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, মীরনজিল্লায় যে কাঁচাবাজার রয়েছে সেটি ২০১৬ সালে পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রায় ৮ বছর পরে আমরা সেটি বাস্তবায়নে যাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোনো জমি কোনো ভূমিদস্যুর হাতে আমরা ছেড়ে দিতে পারি না। মীরনজিল্লা কোনো মাদকচক্র, কিশোর গ্যাং ও অপরাধচক্রের আখড়া হতে দেব না। সব জমি আমরা দখলমুক্ত করব এবং আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ঢাকাবাসীর জন্য আমরা সেটা কাজে লাগাব। জনকল্যাণে কাজে লাগাব। ঢাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে এবং সুন্দর ও বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাব।
বিগত ৪ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সবাই হরিজন ও তেলেগু সম্প্রদায়ের এবং আগামীতেও তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হরিজন, তেলেগুসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে চাকরি নিশ্চিত করেছেন, বাসা নিশ্চিত করেছেন। আজকে আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করে চলেছি। বিগত ৪ বছরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এ পর্যন্ত ২৫০ জন নতুন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়েছি। এরা সবাই হরিজন ও তেলেগু সম্প্রদায়ের। এর বাইরে আমরা নিয়োগ দিইনি। আগামীতে যে নিয়োগ দেওয়া হবে সেখানেও হরিজন সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়াও বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্ব স্ব সম্প্রদায়কে আলাদা আলাদাভাবে বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। যাতে করে কোনোরকম সাংঘর্ষিক কোনো কিছু না হয় এবং শৃঙ্খলা থাকে। সুতরাং, আমরা মানবতার জননী শেখ হাসিনার রূপকল্প পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছি।
কোনো সম্প্রদায়ের অযুহাতে অপরাধচক্র সৃষ্টির অপচেষ্টা দক্ষিণ সিটি বরদাশত করবে না উল্লেখ করে তাপস বলেন, কোনো সম্প্রদায়ের অযুহাত দিয়ে আমাদের জমি বছরের পর বছর দখল করে সেখানে মাদকের আখড়া বানাবে, কিশোর গ্যাং বানাবে, অপরাধচক্র সৃষ্টি করবে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা বরদাশত করবে না। সুতরাং, সব অবৈধ ভূমিদস্যদের উচ্ছেদ করে আমরা আমাদের সব সম্পদ, সম্পত্তি ঢাকাবাসীর কল্যাণে নিয়োজিত করব। আজকে যে ৬৬টি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে আপনারা এগুলো দেখভাল করবেন। এগুলো আপনাদের সম্পদ, সিটি করপোরেশনের সম্পদ। আপনাদের জীবনযাপনে যেন অবৈধ কোনো চক্র কোনো ধরনের পাঁয়তারা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে আপনার সচেতন থাকবেন। প্রয়োজনে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সেসব কঠোরভাবে দমনে ব্যবস্থা নেব, ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত, বাসা বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী আজ ১টি ভবনে মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬ জন এবং বাকি ২টি ভবনে হরিজন সম্প্রদায়ের ৬০ জন যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে বাসা বরাদ্দের চাবি হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি ভবন ৬ তলাবিশিষ্ট এবং তাতে ৩৬টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে।
কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আওয়াল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৯:১১ ৫০ বার পঠিত