সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

ভূমি অফিসের গণশুনানী: সেবা প্রত্যাশীদের যে পরামর্শ দিলেন ডিসি

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ভূমি অফিসের গণশুনানী: সেবা প্রত্যাশীদের যে পরামর্শ দিলেন ডিসি
সোমবার, ১০ জুন ২০২৪



ভূমি অফিসের গণশুনানী: সেবা প্রত্যাশীদের যে পরামর্শ দিলেন ডিসি

ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের আয়োজনে গণশুনানী অনু্ষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) নগরীর খানপুরে এসিল্যান্ড কার্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে এ গণশুনানি শুরু হয় যা চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এতে অংশ নেন ৩০ জন সেবা প্রত্যাশী, যার মধ্যে তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়েছেন ১৫ জন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হক।

গণশুনানীর সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও দেদারুল আলম। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুর আলম, সিনিয়র সহকারি কমিশনার (রাজস্ব) মো. রবিন মিয়া, সদর সার্কেলের এসিল্যান্ড লাইলাতুল হোসেন, ফতুল্লা সার্কেলের এসিল্যান্ড শাহাদাৎ হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেল এসিল্যান্ড তাসনিয়া আঞ্জুম সোহানিয়া, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান।

গণশুনানী চলাকালে ৩ জনকে নামজারীর কাগজ তুলে দেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক। নামজারীর কাগজ হাতে পেয়েছেন ফতুল্লার লালপুরের খন্দকার কবির, জালকুড়ির রোজী সিদ্দিকী ও মুক্তা আক্তার।

গণশুনানীতে ভূইগড় মৌজার জমির মালিক হুমায়ন কবির জানান, তার মালিকানাধীন জমির সিএস ও এসএ রেকর্ড ঠিক থাকলেও আর এস রেকর্ডে জমির দাগ নাম্বার ৫২৭ এর বদলে ৫১৭ হয়ে আছে। জেলা প্রশাসক তাকে মিসকেইস আবেদন করতে বলেন সেই আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিস্পত্তি করা হবে।

কাশিপুর মৌজার একটি জমির মালিক মো. মোমিন বলেন, তারা অনলাইনে খাজনা দিয়ে আসছেন। সিএস, এস এ ও আর এস রেকর্ডে জমির শ্রেণী নাল অথচ তহসিল অফিস থেকে বলা হচ্ছে নদীর অংশ। এসময় তহসিলদার মোস্তফাকে দ্রুত বিষয়টি নিস্পত্তির নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক। সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির মোহাম্মদ আলী বলেন তিনি সাড়ে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তবে সেই জমি অন্য লোকে নামজারী করে নিয়ে গেছে। তিনি নামজারী সংশোধনের জন্য ২০২০ সালে আবেদন করেছেন। তবে এখনো আবেদ নিস্পত্তি হয়নি। জেলা প্রশাসক তাকে জানান আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেই আবেদন নিস্পত্তি করা হবে।

কিল্লারপুলের বাসিন্দা আলমগীর জানান, একটি ভূমিদস্যু চক্র তাদের জমিরসহ পার্শ্ববর্তী রেলওয়ের জায়গা দখলের পায়তারা করছে। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাদের জমির ডিমার্কেশন করার অনুরোধ জানান। এসময় জেলা প্রশাসক তাকে আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

আলীরটেকের চরবক্তাবলী মৌজার জমির মালিক নোমান জানান, তার পৈত্রিক সূত্রের জমি অন্য আরেকজনের নামে রেকর্ড হয়ে আছে। জমির দখল তাদের থাকলেও যার নামে ভুলবশত রেকর্ড হয়েছে তারা এখন জমিটি বিক্রির পায়তারা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৯:৫৭   ৯৯ বার পঠিত