যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করার সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে। খবর- রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হামাস কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেন, ইসরায়েল যেন চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলে তা নিশ্চিতের দায়িত্ব ওয়াশিংটনের। হামাস জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের খসড়া চুক্তি অনুযায়ী গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কাছে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়গুলো মেনে নিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের সামনে এখন অগ্নিপরীক্ষা। তাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী ইসরায়েলকে অবিলম্বে যুদ্ধের অবসান করানো এবং নিরাপত্তা কাউন্সিলের চুক্তির অন্যান্য শর্তগুলো বাস্তবায়নে বাধ্য করা এখন তাদের দায়িত্ব।
নিরাপত্তা কাউন্সিলে জাতিসংঘের উত্থাপন করা খসড়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন পেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেন, হামাসের এখন প্রমাণ করার সময় যে তারা আসলেই যুদ্ধবিরতি চায়।
৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এ প্রস্তাব দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সোমবার প্রস্তাবটির ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। ইসরায়েল ও হামাসকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে নতুন সুযোগ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
তবে নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দেওয়া প্রস্তাবই ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এর আগে ২৫ মার্চ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ওই প্রস্তাবের পক্ষে ১৪ সদস্য ভোট দিয়েছিল। তখন ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওই প্রস্তাব মানেনি ইসরায়েল। নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪টি। ভোট দেওয়া থেকে শুধু বিরত ছিল রাশিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৪:৫৬ ৮৩ বার পঠিত