সমুদ্রের গা’ঘেঁষে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামের নাম আর্নস ভ্যালে গ্রাউন্ড। এ মাঠের সৌন্দর্য ক্রিকেটপ্রেমীদের নজড় কেড়ে নেবে আনায়াসে। মাঠের দুই প্রান্তের নাম- এয়ারপোর্ট এন্ড ও বিকুইয়া এন্ড। প্রায় ১৮,০০০ দর্শকের আসন বিশিষ্ট এ স্টেডিয়ামে সর্বশেষ ম্যাচ হয়েছিল ২০১৪ সালে। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচ হয়েছে তারও এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ এ মাঠে টেস্ট খেললেও খেলেনি কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আজ রাত সাড়ে আটটায় এ মাঠে বিশ্বকাপের ২৭ নম্বর ম্যাচ খলতে নামবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস।
অচেনা এ মাঠে কেমন করবে টাইগাররা? সে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী দিন শুরুর আগ পর্যন্ত। অচেনা বলার কারণ- এ মাঠে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছাড়া বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা আর কোনো বাংলাদেশির খেলার অভিজ্ঞতাই নেই। ২০১৪ সালে এ মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছিলেন রিয়াদ। বাকিদের কেউই যে এখন নিয়মিত নন টাইগারদের টি-টোয়েন্টি দলে।
তবে বাংলাদেশি স্পিনার তাইজুল ইসলামের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে এ কিংসটাউন। অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি এ স্পিনার। এবার বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ দিয়ে ১০ বছর পর আবারও ক্রিকেট ফিরবে সেই কিংসটাউনে।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এ মাঠের পরিসংখ্যানের পাতা উল্টালে দেখা যায়, এখানে রাজার আসনে বসেছেন স্পিনাররা। পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার জুলফিকার বাবর দুই ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। সুনিল নারিন দুই ইনিংসে নিয়েছেন চার উইকেট। মোহাম্মদ হাফিজ এবং স্যামুয়েল বদ্রি দুই ইনিংসে নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। এ মাঠে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকদের মধ্যে চারজনই স্পিনার। তাই বাংলাদেশের জন্য আজ বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন সাকিব আল হাসান এবং রিশাদ হোসেন। তাদেরকে সহযোগীতা করার জন্য মাহমুদুল্লাহ তো আছেনই। ব্যাটারদের পক্ষে এ মাঠে সর্বোচ্চ রান কাইরন পোলার্ডের ৪৯।
ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত এ ফরম্যাটে কিংসটাউনে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর ১৫৮ রান, যেটি ২০১৩ সালে স্বাগতিকদের বিপক্ষে করেছিল পাকিস্তান। আর সর্বনিম্ম ১২৪ রান। পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার হওয়া টি-টোয়েন্টি দুটিই জিতে নেয় সফরকারীরা। প্রথমটি জিতে ১১ রানে পরেরটায় দুই উইকেটে।
এ মাঠের উইকেট কেমন হতে পারে, সেটা নিয়ে এখনো ধারণা করা যাচ্ছে না। তবে স্পোর্টিং উইকেটের আশা আয়োজকদের। যদিও অতীত ইতিহাস বলছে, এই মাঠে স্পিনারদেরই ভালো করার সুযোগ বেশি।
কিংসটাউনের এ মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ। বাংলাদেশ দল ১৭ জুন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিও এখানেই খেলবে। শান্তর দল গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারলে এখানে পাবে আরও একটি ম্যাচ। ১৯৮১ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিল কিংসটাউনের এই গ্রাউন্ডে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৪:৫২ ৬০ বার পঠিত