শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

দিনাজপুরে রোগী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দিনাজপুরে রোগী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪



দিনাজপুরে রোগী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ

জেলার চারটি উপজেলায় ১৫৫ জন রোগীকে ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৩০ ছাত্রীকে একটি করে বাইসাইকেল এবং ৩৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর-৬ আসনের চারটি উপজেলায় প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবলী সাদিক এমপি। এসব অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় কতৃক ক্যান্সার, কিডনি, স্ট্রোক, প্যারালাইজড, লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরাগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের মাঝে তিনি চেক বিতরণ করেন ।
জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস- চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবলী সাদিক এমপি।
উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিবলী সাদিক এমপি।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, দিনাজপুর-৬ আসনে উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ হাজার টাকা করে ঘোড়াঘাটে ৩৩ জন, বিরামপুরে ৫৭ জন এবং নবাবগঞ্জে ৬৫ জন রোগীর হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও নবাবগঞ্জে ৫ জন ভিক্ষুকের মধ্যে দোকান ঘর ও গাভী এবং ঘোড়াঘাটে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৩০ জন ছাত্রীর মধ্যে একটি করে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়। একই অনুষ্ঠানে ৩৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নগদ ১ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাটে উপজেলায় ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগী তবিবর রহমান ৫০ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ব্লাড ক্যান্সারে ভূগছি। অনেকবার চিকিৎসকের কাছে গিয়েছি। গত দুই বছর থেকে ওষুধের উপর আছি। টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছিনা। আমাদের এমপি ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করলেন। দু’তিন মাসের ওষুধ কেনার টাকা পেলাম। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৬ বছরের শিশু শিহাব, তার মা এসেছিলেন টাকা নিতে। শিহাবের মা আমেনা বেগম বলেন, প্রতি মাসে আমার ছোলের শরীরে রক্ত দেওয়া লাগে। আমার স্বামী ভ্যানচালক। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পাচ্ছিনা। আজ আমার এমপি ৫০ হাজার টাকার চেক দেয়েছেন। এখন টাকা তুলে ছেলের চিকিৎসা করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৬:৫৬   ৫৭ বার পঠিত