সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

ঈদের নামাজে দেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি কামনায় মোনাজাত

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ঈদের নামাজে দেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি কামনায় মোনাজাত
সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪



ঈদের নামাজে দেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি কামনায় মোনাজাত

ঈদের নামাজের খুতবা ও মোনাজাতে শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশবাসীর সুস্থতা ছাড়াও মুসলিম উম্মা ও বিশ্বশান্তি কামনায় দোয়া করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আর জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে খুতবার পর মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের মানুষের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়াও মুসলিম উম্মা ও বিশ্বশান্তি কামনায় দোয়া করেছেন সবাই। মোনাজাত শেষে বুকে বুক মিলিয়ে হৃদয়ের উষ্ণতায় প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন সবাই। মুসল্লিরা পরস্পর কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিসহ সর্বস্তরের মানুষ। ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া

সকাল সাড়ে ৬টার পর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায়ের জন্য মূল ফটকের সামনে মুসল্লিদের লম্বা লাইন দেখা যায়। হাজারো মুসল্লি সারিবদ্ধভাবে ঈদগাহে প্রবেশে করেন। নামাজের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জাতীয় ঈদগাহ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নামাজ ও দোয়া শেষে পুরো ময়দান জুড়ে ঈদের সেই চিরচেনা দৃশ্য দেখা যায়। জাতীয় ঈদগাহ তখন এক প্রকাণ্ড উৎসবের মাঠে পরিণত হয়।

সবার প্রত্যাশা যুদ্ধ আর হানাহানি ভুলে শান্তি ফিরুক গোটাবিশ্বে। কেটে যাক অর্থনৈতিক মন্দা, ভালো থাকুক বাংলাদেশ।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। নারীদের জন্যও আলাদা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা ছিল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় ঈদগাহে এবার মোট ১২১টি কাতারে ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।

এছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫টি জামাত হচ্ছে-

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক। এ জামাতেও মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় অংশ নেন হাজার হাজার মুসল্লি। নামাজ শেষে করা হয় বিশেষ মোনাজাত। যেখানে স্থান পেয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিরাও। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

ভোর ৫টার পর ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররমে আসতে শুরু করেন। প্রতিবছরের মতো এবারও এখানে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং সর্বশেষ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে পৌনে ১১টায়।

এছাড়াও সারা দেশে ঈদুল আজহার নামাজে খুতবা ও মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশবাসীর সুস্থতা ছাড়াও মুসলিম উম্মা ও বিশ্বশান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। নামাজ শেষে কোরবানির উদ্দেশ্যে ঘরে ফেরেন মুসল্লিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৮:৩০   ১১৫ বার পঠিত