বেলাল, কামাল ও মালেক তিন সহোদর। আর তারা ৩ জনই গড়ে তোলেন ‘বেলাল বাহিনী’। এই বাহিনী সশস্ত্র সদস্য সংখ্যা ২০ জন। এই বাহিনীর নেতৃত্বে কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলে মাছের ঘের দখল, লুটতরাজ, অপহরণ ও চাঁদাবাজি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বেলাল বাহিনীর প্রধানসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন র্যাব সদর দফতরের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
আর অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫২ রাউন্ড গুলি।
গ্রেফতাররা হলেন: চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা আকবর আহম্মদের ছেলে বেলাল হোসেন (৪৫), তার ভাই কামাল আহম্মেদ (৪২) ও আব্দুল মালেক (৩২) এবং মৃত জহির আহম্মেদের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দফতরের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে নুরুল আমিন ছাড়া অপর তিনজনই আপন সহোদর। তারা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদলের সদস্য। এসব অপরাধীরা ‘বেলাল বাহিনী’ নামের ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল গড়ে তুলে মৎস্য ঘের জবরদখল, লুট ও অপরহণসহ নানা অপরাধ সংঘটন করে আসছিল।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম আরও বলেন, সোমবার মধ্যরাতে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন মৎস্য ঘের দখল ও লুটপাটের উদ্দেশে জড়ো হয়েছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের অবস্থান করা সন্দেহজনক এলাকাটি ঘিরে ফেললে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৮/১০ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
পরে আটকদের দেওয়া তথ্য মতে, ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় দেশীয় তৈরি ১০ টি বন্দুক ও বিভিন্ন ধরনের ৫২টি গুলি।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতাররা সকলে চিহ্নিত ডাকাতদল বেলাল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন ও অপহরণসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চকরিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৬:২৪ ৫০ বার পঠিত