ইউরোর গ্রুপপর্ব ও নকআউট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪টি ম্যাচ হয়েছে। মঞ্চ প্রস্তুত চারটি কোয়ার্টার ফাইনালের। সবগুলো আমলে নিয়ে হিসাব করলে পর্তুগাল-ফ্রান্সের লড়াইকে নিশ্চিতভাবেই সেরা দুইয়ে রাখতে হয়! হাইভোল্টেজ সেই ম্যাচটি খেলতে শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত একটায় মাঠে নামছে তারা।
ম্যাচটিকে ‘বড়’ হিসেবে ধরার অন্যতম কারণ হতে পারে পর্তুগাল দলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও ফ্রান্স দলে কিলিয়ান এমবাপ্পের উপস্থিতি। একজন ক্যারিয়ারের শেষ দিককার সময় পার করছেন, আরেকজন দিন দিন নিজেকে মেলে ধরছেন। পর্তুগিজ তারকা এমবাপ্পের আইডল। আজ তারা মুখোমুখি।
এর আগেও একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়েছেন তারা। কিন্তু সবগুলোতেই ব্যর্থ ছিলেন কিলিয়ান। হোক সেটা পিএসজি কিংবা ফ্রান্সের জার্সিতে। তবে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে থাকা রোনালদোদের জন্য আজ সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ ফ্রান্সের আর্মব্যান্ড পরা এমবাপ্পে। দুজনের মিল আছে আরও এক জায়গায়, রিয়াল মাদ্রিদে ক্যারিয়ারের শুরুটা রোনালদোর হয়েছিলো যে ৯ নম্বর জার্সিতে, এমবাপ্পেরও সেখান থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে।
মাঠের খেলাতেও মোটামুটি একই অবস্থা দুই তারকার। চলতি ইউরোতে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে মাত্র তিন গোল ফরাসিদের। যার মাঝে দুটো আবার আত্মঘাতী। একটা এমবাপ্পের, সেটাও পেনাল্টি থেকে। ওপেন প্লেতে এখনও কোনো গোল পাননি তিনি। অন্যদিকে একই পথের পথিক সিআর সেভেনও। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করায় কোনো গোল নেই তার দখলে। একবার স্কোর করেছেন, সেটা আবার টাইব্রেকারে।
এসব পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবছে না কোনো দলই। ম্যাচ ডেতে যারা ভালো খেলবে তাদের পক্ষেই থাকবে ফলাফল। তাই, শিষ্যদের তাতিয়ে রাখতে চাপ না নেয়ার পরামর্শ দুই কোচের। দেশম বলেন, ‘আমরা ওপেন প্লেতে গোল পাইনি, তাই বলে কি ম্যাচ হেরেছি? দিন শেষে জয়টা মুখ্য, বাকি সব কিছু সবাই ভুলে যাবে। এ ম্যাচেও আমি জিততে চাই, সেটা যে কোনোভাবে হলেই হবে। রোনালদো-এমবাপ্পে ফুটবলের সেরা তারকা, ওদের নিয়ে আলাদা করে কোনো কিছু বলার মানে হলো আপনি ভয় পাচ্ছেন।’
পর্তুগালের কোচ মার্টিনেজ বলেন, ‘রোনালদো কোন মানের খেলোয়াড় আমরা সবাই জানি। এটা নিয়ে নতুন করে কী বলবো। ফ্রান্স ইউরোর সেরা দল। তাদের হারাতে আপনাকে শুধু সেরাটা দিলেই হবে না, করতে হবে বিশেষ কিছু। আমরা সেই স্পেশাল মোমেন্টের অপেক্ষায়।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৪:৫৪ ৮৯ বার পঠিত